কৃষ্ণচূড়ায় আগুনরঙ, সোনাইলে শান্ত ছোঁয়া বসন্তরঙে রাঙা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

বসন্তের শেষ ভাগে এসে প্রকৃতি যেন নিজের রঙের ক্যানভাস খুলে বসেছে রংপুরের বুকে অবস্থিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। এপ্রিলের এই সময়ে ক্যাম্পাসজুড়ে যে রঙের উৎসব, তাতে কৃষ্ণচূড়া ও লাল সোনাইল ফুল যেন প্রধান শিল্পীর ভূমিকা নিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক পেরিয়ে একটু এগোলেই চোখে পড়ে কৃষ্ণচূড়ার আগুনরাঙা ফুল। ভবনগুলোর পাশে কিংবা কেন্দ্রীয় মাঠের চারপাশে দাঁড়িয়ে থাকা কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো এই সময়টাতে যেন ফুলের অভ্যর্থনা দিচ্ছে আগত সবাইকে। আর কিছুটা দূরে লাল সোনাইল গাছের নরম সৌন্দর্য, যেন আগুনের পাশে শান্ত ছায়া। রোদে ঝলমলে এই দুই ফুলের যুগল উপস্থিতি এক অপূর্ব রঙিন দ্বৈতসুর তৈরি করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন শান্তা বলেন,
“প্রতিদিন সকালে যখন ক্লাসে আসি, কৃষ্ণচূড়া আর সোনাইলের ফুল দেখে মনটাই ভালো হয়ে যায়। মনে হয় প্রকৃতি যেন শুভ সকাল বলছে।”
শুধু শান্তাই নন, অনেক শিক্ষার্থীকেই দেখা যায় ক্যাম্পাসের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে হাঁটছেন ক্যামেরা হাতে; কেউ বসে আছেন কৃষ্ণচূড়ার ছায়ায় কবিতা লিখছেন, কেউ বা গল্প করছেন লাল সোনাইলের পাশে। কেউ কেউ আবার ফুলের পাপড়ির নিচে বই খুলে পড়ছেন, প্রকৃতিকে সঙ্গী করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মেহরাব হাসান বলেন, “এই সময়টায় ক্লাসে আসারও একটা আলাদা আনন্দ থাকে। মনে হয় যেন পুরো ক্যাম্পাস একটা আর্টগ্যালারিতে রূপ নিয়েছে—প্রকৃতি এখানে শিল্পী, আর কৃষ্ণচূড়া-সোনাইল তার রঙতুলির কাজ করছে।”
কৃষ্ণচূড়া ও লাল সোনাইল শুধু ফুল নয়—প্রকৃতির এমন নিঃশব্দ সৌন্দর্য যেন স্মরণ করিয়ে দেয় আমাদের দায়িত্ববোধও। এই ফুলেরা বলে দেয়, প্রকৃতিকে ভালোবাসা এবং তা রক্ষা করা শিক্ষারই অংশ।
এখন শুধু ক্যাম্পাস নয়, শিক্ষার্থীদের মনও রাঙিয়ে তুলছে কৃষ্ণচূড়া ও সোনাইলের এই মৃদু, অথচ জ্বলজ্বলে উপস্থাপনা।
What's Your Reaction?






