খাগড়াছড়িতে একুশের শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে জেলা পরিষদ পরিবার

একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা ও তার পরিষদের সদস্যবৃন্দ। জেলা সদরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয় এ সময়।
ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা বলেন, "ভাষা আন্দোলনের শহীদদের আত্মত্যাগ আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ভাষা আন্দোলনের সিঁড়ি বেয়েই আমরা অর্জন করেছি আমাদের স্বাধীনতা। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই জাতীগত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরু করে এ ভূ-খণ্ডের ছাত্র-জনতা। তাঁদের বীরত্ব ও দেশপ্রেম আমাদের সর্বদা প্রেরণা যোগায়।"
জিরুনা ত্রিপুরা আরও বলেন, "একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের সবার জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ববহ একটি দিন। এই দিনে আমরা যেমনিভাবে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, ঠিক তেমনিভাবে মাতৃভূমির মর্যাদা রক্ষার জন্যও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই। এ সময় শহীদদের মহান আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানাতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করার আহবান জানান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা। এ সময় প্রফেসর আবদুল লতিফ, প্রফেসর প্রশান্ত ত্রিপুরা, নিটোল মনি চাকমা, শহিদুল ইসলাম সুমন, এডভোকেট মনজিলা সুলতানা ঝুমাসহ জেলা পরিষদের অন্যান্য সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও ভাষা আন্দোলনের শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের এ আয়োজনে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরার নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদনে পরপরই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার, জেলা পুলিশ সুপার আরফিন জুয়েল, জেলার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, জেলা আনসার ভিডিপি, এপিবিএন পুলিশসহ জেলার বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
What's Your Reaction?






