খোকসায় ধর্ষিতার বসতবাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগ

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় এক মর্মস্পর্শী ঘটনায় উত্তপ্ত হয়েছে এলাকা। একটি শিশু ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর ধর্ষকের পরিবারের সদস্যদের দ্বারা শিশুটির বসতবাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় সম্প্রদায়ে রোষ ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
গত ৪ এপ্রিল, শুক্রবার দিবাগত রাতে খোকসার গোপগ্রাম ইউনিয়নের খোর্দ্দসাধুয়া গ্রামে এ হামলা চালানো হয়। জানা গেছে, এর একদিন আগে ৩ এপ্রিল ধর্ষক আফজাল কাজীকে (মৃত ঈমান আলী কবিরাজের পুত্র) গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেফতারের পরের রাতেই শিশুটির পরিবারের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
শিশুটির চাচা নিপুণ শেখের বর্ণনা অনুযায়ী, ১ এপ্রিল আফজাল কাজী ৮ বছর বয়সী শিশুটিকে পেঁয়াজ কাটার অজুহাতে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে সারাদিন কাজ করানোর পর রাতে তাকে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটি প্রথমে লজ্জা ও ভয়ে ঘটনা গোপন রাখলেও পরদিন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে শিশুর মা খোকসা থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করলে পুলিশ আফজালকে গ্রেফতার করে।
ধর্ষকের গ্রেফতারের পর শিশুটির পরিবারকে লক্ষ্য করে প্রতিশোধমূলক হামলা চালানো হয়। নিপুণ শেখ জানান, "আমাদের বসতঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। আমরা এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।" ইতিমধ্যে খোকসা থানায় এ ঘটনায় পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন যে, আফজাল কাজীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ধর্ষকের ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, "দোষী প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
এ ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শিশুটির পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে দ্রুত বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি উঠেছে।
পুলিশ বাড়তি প্যাট্রোলিং বাড়িয়েছে বলে জানা গেছে। শিশুটির পরিবারকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। আদালতের রায় ও পুলিশের তদন্তই এখন সবার দৃষ্টি।
What's Your Reaction?






