খোকসায় পানিবন্দী ৩০ পরিবার, দুর্ভোগ চরমে
কুষ্টিয়ার খোকসা পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। অনেকের বাড়িঘরে এখন নোংরা পানি। দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতায় পানিবাহিত রোগসহ নানা ব্যাধিতে আক্রান্তের পাশাপশি চলাচলে বিড়ম্বনায় পরেছেন এলাকার বাসিন্দারা। চরম দুর্ভোগে দিন কাটছে ২৫/৩০ পরিবার। দ্রুত ড্রেনেজ নির্মাণের জোর দাবি তাদের।
জানা যায়, খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জেলার অন্তর্গত খোকসা পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০১ সালে। তবে তা কেবল নামেই। উন্নত হয়নি ড্রেনেজ ব্যবস্থা। পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড সহ বিভিন্ন এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানিতে নিমজ্জিত হয়। পাশাপাশি আবর্জনা ফেলার পর্যাপ্ত ডাস্টবিন না থাকায় শহরের বিভিন্ন এলাকা পরিনত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। এতে দুর্ভোগে পরেছেন পৌরবাসী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রভাবশালীরা বাসা বাড়ি তৈরি করতে গিয়ে ড্রেনের জায়গা দখল করায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টির কারণ। পৌরসভার বয়স ২৩ বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। এ কারণে বর্ষা মৌসুম এলেই এলাকার অনেক জায়গা জুড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কারণে দুর্ভোগের শেষ নেই বাসিন্দাদের।
সরেজমিনে যেয়ে দেখা গেছে, পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের ২০/২৫টি পরিবার ১৫ দিন ধরে পানিবন্দি। জলাবদ্ধতার কারণে অনেকের বাড়ির উঠোনে এমনকি ঘরের ভেতরেও জমে রয়েছে নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি। বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তাগুলোও ডুবে রয়েছে।
আলাপকালে পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রুহুল আমিন পিয়াস বলেন, ‘বাড়িতে যাওয়া-আসার রাস্তায় কোমর সমান পানি। আবার ঘরের ভেতরেও পানি। এই অবস্থায় বাড়িতে বাস করার মতো উপায় নাই। অতি কষ্টে ভোগান্তি নিয়ে বসবাস করছি। বছরের পর বছর সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয়নি কেউ। পৌর মেয়রের মিথ্যা আশ্বাসে দিন পার করছি। জমে থাকা পানি পচে গিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পরিবারগুলোর লোকজন কর্দমাক্ত নোংরা পানির মধ্য দিয়ে যাতায়াত করছেন। ছোট শিশুদের নিয়ে আতংকে দিন কাটছে।'
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌরসভার এক কর্মকর্তা বলেন, বার বার উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হয়েছি। কেউই জায়গা ছাড়তে রাজি হননি।
তবে, দ্রুত সময়ের মধ্যেই ড্রেন নির্মাণ করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন পৌরসভার সহ-প্রকৌশলী মো: সুজন আলী।
What's Your Reaction?