খোকসায় মিষ্টি জাতের কমলা চাষে লাভের স্বপ্ন
ইউটিউব দেখে শখের বসে কমলা চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার এক তরুণ উদ্দোক্তা মনিরুল ইসলাম। মিষ্টি জাতের কমলা চাষ করে ভাগ্য ফেরানোর স্বপ্ন দেখছেন তিনি। প্রতিদিন তার বাগান দেখতে ভিড় করছেন অনেক মানুষ। সুমিষ্ট এই ফল চাষে অপার সম্ভাবনা দেখছে কৃষি বিভাগ।
প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকেই আসছেন কমলা বাগান দেখতে। কমলার আকার, রঙ ও রস দেখে খুশি তারা।
কমলাবাগান দেখতে মালিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা রূপালী ঘোষ জানান, এতো সুন্দর একটি বাগান, মনে হচ্ছে আমরা বিদেশে কোথাও আছি। দেশের মধ্যে আছি এটা মনেই হচ্ছে না। কমলার স্বাদও চামৎকার। আসলে ন্যাচারল খাবার খাওয়ার মজাই আলাদা।
উপজেলার এক্তারপুর এলাকা থেকে কমলাবাগান দেখতে আসা ভিক্টর বিশ্বাস জানান, ফেসবুক থেকে বাগানটা সর্ম্পকে জেনেছি। তাই এখানে বেড়াতে এলাম। এই বাগানটা দেখতেও খুব সুন্দর এবং কমলাগুলো ক্ষেতে খুব মজার। বাইরের কমলার থেকে আমাদের এখানে যে কমলা চাষ হচ্ছে সেটা অনেক মিষ্টি। এই বাগানে এসে আমি চার কেজি কমলা কিনেছি।
কমলা বাগানে কর্মরত শ্রমিক মনছের আলী বলেন, শিক্ষিত যুবকরা চাকরির পেছনে না ছুটে কৃষিতে মনযোগ দিলে ভাল আয় করা সম্ভব। আমিও কমলা বাগান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই এ বাগানে কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করছি। তবে কৃষি বিভাগ যদি পাশে থাকে তাহলে কমলা চাষিরা আরো উপকৃত হবে।
উদ্দোক্তা মনিরুল জানান, ইউটিউব দেখে ২০২০ সালে ২ বিঘা জমিতে বিষমুক্ত ফল আবাদের পরিকল্পনা করেন তিনি এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে ১০বিঘা জমিতে রয়েছে চায়না কমলা চাষ। এরই মধ্যে ১ লক্ষ টাকার ফল বিক্রি করেছেন । আরও ১০ লক্ষ টাকার ফল বিক্রির আশা তার।
খোকসা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: খোকন হোসেন বলেন, পারিবারিক পুষ্টি নিশ্চিতের পাশাপাশি আর্থসামাজিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগ ও সরকারের যথাযথ পদক্ষেপে দেশে কমলা চাষ বাড়বে বলে মনে করেন চাষিরা
What's Your Reaction?