গৃহবধূকে চেতনানাশক খাইয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার বলদীয়া ইউনিয়নের কাঠাপিটানিয়া গ্রামে এক গৃহবধূকে চেতনানাশক খাইয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রধান আসামি হৃদয় হালদার (২৫) গ্রেপ্তার হয়েছে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নাজিরপুর উপজেলার বানিয়াকাাঠী গ্রামের মিঠুকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ২১ মার্চ গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। তবে ভুক্তভোগী পরিবার লোকলজ্জার ভয়ে এতদিন অভিযোগ করতে পারেনি। ৩০ মার্চ থানায় অভিযোগ দায়েরের পর ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।
ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা জানান, দুষ্কৃতকারীরা চেতনানাশক মিশ্রিত খাবার খাইয়ে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে। এরপর গৃহবধূকে আরও বেশি অচেতন করতে চেতনানাশক স্প্রে ব্যবহার করে ঘর থেকে বাইরে নিয়ে যায় এবং ছয়জন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। স্থানীয়রা অচেতন অবস্থায় পরিবারটিকে উদ্ধার করে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
প্রধান অভিযুক্ত হৃদয় হালদার ছাড়া আরও পাঁচজন এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
এদিকে, নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপি সদস্য সচিব আলহাজ্ব মো. আব্দুল্লাহ আল বেরুনী সৈকতের নির্দেশে ইউনিয়ন বিএনপি নেতৃবৃন্দ ভুক্তভোগী পরিবারকে সমবেদনা জানাতে ঘটনাস্থলে যান। তাদের আশ্বাসে পরিবারটি সাহস পেয়ে হৃদয় হালদারের নাম প্রকাশ করে। পরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা হৃদয়কে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন। তার স্বীকারোক্তিতে আরও পাঁচজনের নাম প্রকাশ পায়।
স্থানীয় জনগণ দ্রুত বিচার ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বনি আমিন জানান, বিষয়টি জানার পরপরই এএসআই হিরন মিয়াকে ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পুলিশ ইতোমধ্যে আসামিদের আইনের আওতায় আনতে ব্যবস্থা নিয়েছে এবং যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবার দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
What's Your Reaction?






