চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্বপ্নের আইকনিক ভবনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
নতুন নগর ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এরমধ্য দিয়ে ১৪ বছর ধরে লালিত চসিকের ‘আইকনিক নগর ভবনের’ স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে। আজ সোমবার দুপুরে নগরীর আন্দরকিল্লায় চসিকের নিজস্ব জমির উপর এই ভবন নির্মাণকাজের উদ্বোধন করলেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। চসিকের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহীন উল ইসলাম চৌধুরী দৈনিক খোলা চোখ কে বলেন, নানা জটিলতা কাটিয়ে চসিকের নতুন নগর ভবন নির্মাণকাজ শুরু হচ্ছে। (আজ) সোমবার মেয়র মহোদয় এই আইকনিক নগর ভবন নির্মাণকাজের উদ্বোধন করলেন। চসিকের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রথম পর্যায়ে ৫৩ দশমিক ৪৫ কাঠা জমির উপর আইকনিক নগর ভবনের বেজমেন্টসহ তিনটি ফ্লোর (অবকাঠামোগত) নির্মাণে গত বছরের ১ জুন দরপত্র আহ্বান করা হয়। সম্প্রতি ‘তাহের ব্রাদার্স’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এই কাজের জন্য চূড়ান্ত করে চসিক। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮ কোটি ২২ লাখ টাকা।
প্রকল্পের ডিপিপি অনুযায়ী, আইকনিক নগর ভবনটি হবে ২০ তলা বিশিষ্ট। তবে পুরো ভবনের নির্মাণকাজ একসঙ্গে হবে না। ধাপে ধাপে হবে। প্রথম ধাপের কাজ শেষ হলে দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু হবে। পুরো ভবনের জন্য দুটি বেজমেন্ট ফাউন্ডেশনসহ তিনটি পার্কিং ফ্লোর থাকবে। এরমধ্যে দুটি পার্কিং ফ্লোর থাকবে আন্ডারগ্রাউন্ডে। ভবনের ওপরে থাকবে সিটি ক্লক।
এছাড়া নগর ভবনের তিনপাশে দৃষ্টিনন্দন বাগান থাকবে। সামনে নির্মাণ করা হবে মনোমুগ্ধকর ফোয়ারা। ভবনের কয়েকটি ফ্লোর বাণিজ্যিকভাবে ভাড়া দেয়া হবে। থাকবে মাল্টিপারপাস হল, কনফারেন্স হল ও ব্যাংকুয়েট হল। সবমিলিয়ে চসিকের নতুন এই নগর ভবনকে ‘আইকনিক নগর ভবন’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, নগরীর আন্দরকিল্লায় ১৯৬৪ সালে নির্মিত একটি ভবন চসিকের প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হতো। ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে উঠায় ২০১০ সালের ১১ মার্চ নতুন নগর ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তবে নানা জটিলতায় এই কাজ আটকে যায়।
এরপর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মোহাম্মদ মনজুর আলম ও আ জ ম নাছির উদ্দীনও নতুন নগর ভবন নির্মাণকাজ শুরুর উদ্যোগ নেন। এরই অংশ হিসেবে ২০১৯ সালের ২০ জুন চসিকের প্রধান কার্যালয় টাইগারপাসের অস্থায়ী কার্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়। তবে অর্থছাড় না পাওয়ায় নির্মাণকাজ শুরু করা যায়নি।
বর্তমান মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী দায়িত্ব নেওয়ার পর ফের নগর ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেন। জটিলতা এড়াতে তিনি চসিকের নিজস্ব অর্থায়নে নতুন নগর ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এখন তার হাত ধরেই ১৪ বছর আগে দেখা চসিকের ‘আইকনিক নগর ভবনের’ স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে।
সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চসিকের নিজস্ব অর্থায়নে বহুতল নগর ভবন নির্মাণ করতে যাচ্ছি। চসিকের একসাথে ৩০ কোটি টাকার বেশি কাজ করার সুযোগ নেই। তাই ধাপে ধাপে নগর ভবন নির্মাণকাজ শেষ করব। প্রথমে তিনটি ফ্লোর করব। এরপর বাকি কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করব।
What's Your Reaction?