চট্টগ্রামে সকল হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধ, ভোগান্তিতে সেবা প্রার্থীরা
চট্টগ্রামে দুইজন চিকিৎসককে মেরে আহত করার ঘটনায় এবং অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে আজ মঙ্গলবার ভোর ৬ টা থেকে কাল সকাল ৬টা পর্যন্ত নিজস্ব চেম্বারে কোন ধরনের রোগী না দেখার কথা জানিয়েছিল চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল আ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখা।
আজ সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, বেসরকারি হাসপাতাল গুলোর সামনে ঝুলছে ব্যানার তাতে লিখা আছে- সকল প্রকার সেবা থেকে বিরত থাকবেন তারা।
এদিকে খাগড়াছড়ি থেকে থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসা নিতে আসেন আজিজুল ইসলাম নামের এক রোগী। তিনি বলেন, ডাক্তারের কাছে এসেছি অনেক দূর থেকে। এখন ডাক্তার নেই। আবার ফিরে যেতে হবে। সারাদিন এ অবস্থা চলতে থাকলে বিনা চিকিৎসায় এখানে মারা যেতে হবে।
এপিক হাসাপাতালের এক কর্মকর্তা বলেন, নতুন করে কোন পরীক্ষা বা রোগী ভর্তি নেওয়া হচ্ছেনা। তবে আগে ভর্তি হওয়া রোগীদের দেখছেন ডাক্তাররা।
জানা যায়, গত ১১ এপ্রিল পটিয়া উপজেলার পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রক্তিম দাশকে হাসপাতালেই পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। আহত এক রোগীকে চিকিৎসা দিতে দেরি হওয়ার অভিযোগ এনে ডা. রক্তিমকে পেটান আহন রোগীর স্বজনরা। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছেন রক্তিম।
অন্যদিকে পহেলা বৈশাখের দিন (১৪ এপ্রিল) নগরীর বেসরকারি হাসপাতাল মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা অবহেলায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগে এনে হামলার শিকার হন হাসপাতালটির দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. রিয়াজ উদ্দিন শিবলু। বর্তমানে এই চিকিৎসকও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে সংকটাপন্ন অবস্থায় আছেন।
বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী বলেন, ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হলে আজ মঙ্গলবারের পর আমরা আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা করবো। যদি এরমধ্যে আমাদের দাবি পূরণ হয়ে যায় তাহলে কর্মসূচি প্রত্যাহার করবো কিনা সিদ্ধান্ত নিবো।
What's Your Reaction?