চাটখিলে ভয়াবহ বন্যার কারণে সড়ক হয়ে পড়েছে মরণফাঁদ
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার আয়তন ১৭০.৪২ কিলোমিটার।
এই উপজেলায় ৩ লক্ষ মানুষের বসবাস। উপজেলায় অধিকাংশ সড়ক কাগজে কলমে পাকা হলেও মাইক্রোস্কোপ দিয়ে সেই পিচের অনুসন্ধান করতে হবে। ঐতিহাসিক সময়ের মতো সেই সব পিচ ভয়াবহ বন্যায় হারিয়ে গেছে। সেখানে বর্তমানে দেখা মিলবে বড় বড় ধরনের গর্ত। যেটি পার হতে পথচারীকে অনেক সময় বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। চিত্রগুলো ফাওড়া ব্রীজ থেকে বানসা, পাল্লা বাজার টু চিতোসি সড়ক ডল্টা সড়কে। সড়ক গুলোতে প্রতিদিন দুর্ঘটনা শিকার হচ্ছেন অনেকেই।
চাটখিল পৌরসভা ৩/১নং ওয়ার্ড বাদলকোট বাজার টু ডল্টা সড়ক দীর্ঘ ১৮ বছর যাবত চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। ফলে ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় এখন মরণফাঁদ।
এছাড়াও চাটখিল খিলপাড়া, বটতলা, হাটপুকুরিয়া বাজার নাজির কাচারী আংশিক সড়ক।
মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন মাইয্যাখালী জয়াগ গান্ধী আশ্রম বাইপাস সড়ক, চাটখিল পৌরসভার মির্জাপুর ফতেহপুর সুন্দরপুর সহ পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড। চাটখিল উপজেলায় ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা।
প্রায় হাজার লোককে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বিশেষ করে বর্ষার মৌসুমে ভোগান্তিতেপড়তে হয় সবচেয়ে বেশি। অল্প বৃষ্টিতেই গর্তে পানি জমে যাওয়ায় গাড়ির সঙ্গে ঝুঁকি বাড়ে পথচারীদেরও। এ যেনো সড়ক নয় যেনো মরনফাঁদ। গতকাল শুক্রবার সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, চাটখিল হালিমা দিঘীরপাড় টু চিতোসি সড়ক -সড়কটির বেহাল অবস্থা। একাধিক সূত্র মতে ২০০৪ সনে সড়কটির মেরামত কাজ হয়েছিলো।
ঐ সংস্কারের
২/৩ বছর না পেরুতেই সড়কটিতে দেখা দেয় ফাটল। প্রাথমিক পর্যায়ে তদারকি না করায় বর্তমান সড়কটি দিয়ে খালি পায়ে হেঁটে যাওয়া পর্যন্ত দুরহ হয়ে পড়ছে।
স্থানীয়রা অনেকেই জানান, সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে তলিয়ে যায় সড়কটি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে তো কথাই নেই। বর্ষা মৌসুমে কোমলমতিশিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারেনা। মুমুর্ষ রোগী এবং গর্ভবতী মায়েদের হাসপাতালে নেয়া যায়না। এক কথায় সড়কটির কারনে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে আছে এই উত্তর অঞ্চলের হাজারো মানুষ। তারা অতিসত্ত্বর সড়কটি মেরামতে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।
তারা আরো জানান এ সড়ক দিয়ে চিতোসি কালিবাড়ী কুমিল্লা মুদাফফরগঞ্জ হয়ে সহজে রাজধানী ঢাকার যাতায়াতের সহজ রাস্তা। এই সড়কের ২ পাশে রয়েছে কলেজ,সরকারী প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থী এই সড়ক পথে আসা-যাওয়া করে। সড়কটির বেহাল দশায় বর্তমানে তাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সড়কে যানবাহনচলাচল দুরের কথা পায়ে হেটেও চলাচলও দুঃসাধ্য সাধন।
এ ব্যাপারে উপজেলাতে কথা বললে, সড়কটির বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানান।
What's Your Reaction?