ছাত্রদল নেতাকে অপহরণ মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. তুহিনুর রহমানকে (৩৯) কে অপহরণের পর নির্যাতন ও চাঁদাবাজির মামলায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দিনগত রাতে অভিযান চালিয়ে কালুখালী থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে বালিয়াকান্দি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার আবুল কালাম আজাদ বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের চর দক্ষিণবাড়ী গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে। তিনি বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি ছাত্রদল নেতা তুহিনুরকে অপহরণ করে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন আওয়ামী সন্ত্রাসীর। এছাড়াও চাঁদা আদায়ের জন্য নির্যাতনসহ খুনের চেষ্টাও করেন তারা। ওই সময় সন্ত্রাসীরা তুহিনের পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তুহিনের বাবা তাদের পাঁচ লাখ টাকা দেন। পরবর্তীতে তুহিনের বাবাকে আরও পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দিতে বাধ্য করেন সন্ত্রাসীরা। এরপর তারা কু-চক্র করে তুহিনকে বালিয়াকান্দি থানায় পেন্ডিং মামলায় চালান দেন। পরবর্তীতে তুহিন অসুস্থ হলে দেশে ও বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা করাতে হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করেন। এখনো সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেন না তিনি।
এ ঘটনায় ছাত্রদল নেতা তুহিন গত ২৫ আগস্ট দুপুরে বাদী হয়ে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি আমলি আদালতে সাবেক রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমসহ ১০ জন আওয়ামী লীগ নেতার নাম উল্লেখ করে ও তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন। পরে আদালত বালিয়াকান্দি থানাকে মামলাটি এফআইআর করার নির্দেশ দেন। এরপর গত ৩০ আগস্ট বালিয়াকান্দি থানা মামলাটি এফআইআর করে।
বালিয়াকান্দি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আল-আমিন বলেন, শুক্রবার দিনগত রাতে কালুখালী থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে যৌথবাহিনী। পরে তাকে বালিয়াকান্দি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি ওই মামলার এজাহার নামীয় ৭ নম্বর আসামি। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
What's Your Reaction?