জাতীয় সঙ্গীতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উদীচীর মানববন্ধন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় সঙ্গীতের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর আয়োজনে মানববন্ধন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। শুক্রবার সকাল ১০ টায় শহরের আধুনিক পৌর সুপার মার্কেটের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।
উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা সংসদের সভাপতি জহিরুল ইসলাম স্বপনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রহমান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক অ্যাডভোকেট আবদুন নূর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী ও সমাজকর্মী অ্যাডভোকেট নাসির প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমাদের সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করা যাবে না। এই গানের মধ্যে আবেগ আছে, ভালোবাসা আছে, দরদ আছে, দেশপ্রেম আছে। এই গানের জন্ম হয়েছে পূর্ব বাংলার শিলাইদহে। এই জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি সুরে-সুরে আকাশ, বাতাস,প্রকৃতিকে নিয়ে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ দেশ প্রেমের এই সঙ্গীত রচনা করেছেন। এই গান শুনলে আমাদের চোখে জল চলে আসে। ১৯৭১ সালের আগেও এই গান গেয়েছি আমরা। এই গানের মধ্য দিয়ে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। আজকে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন পর্যন্ত আমাদের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আমাদের শ্রদ্ধা আছে, ভালোবাসা আছে।
বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা যাদেরকে পরাজিত করেছি, সেই পরাজিত শক্তি বিভিন্ন সংগঠনের মধ্য দিয়ে নতুন ভাবে আর্বিভুত হয়েছে। আমরা বলতে চাই, একাত্তরে আমরা যাদেরকে পরাজিত করেছি, তাদেরকে আমরা সেটা একাত্তরেই প্রমান করে দিয়েছি। আমরা গোলাম আজমের ছেলেকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাই। পাশাপাশি তিনি যে জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন সেই দাবিটি দ্রুত প্রত্যাহার করার দাবি জানাই ও তাকে এ ধরনের বক্তব্য দেয়ার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানাই। মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
What's Your Reaction?