জাল দলিলে জমি দখলের অভিযোগ, সম্পত্তি ফিরে পাওয়ার আকুতি শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদ এর ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুস সাত্তার (জিনি ১৯৭১ সালে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে শহীদ হন)। এই মুক্তিযোদ্ধার আপন ভাতিজা নিরীহ দুলাল মিয়ার উপরে আজ চলছে চরম নির্যাতনের স্টিম রুলার। একই গ্রামের প্রতিবেশী ভূমিদস্য ছাদির মিয়া (৬০)ও তার ছেলে অপতিরোধ্য ক্ষমতাধর পরসম্পদ লোভী ভূমি খেকো এলাকার চিহ্নিত দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী দেলোয়ার মিয়ার (৩৭) নির্মম অত্যাচারে কোণঠাসা হয়ে এলাকায় বসবাস করছে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার আপন ভাতিজা দুলাল মিয়ার পরিবার। সরেজমিনেও মামলার নথি অনুসারে জানা যায়, প্রতিবেশি হিসেবে বর্তমান দখলদার ছাদির মিয়া দুলালের পিতার অনেক জায়গা সম্পত্তি বর্গাদার হিসেবে চাষাবাদ ও দেখাশুনা রক্ষণাবেক্ষণ করতেন, অসহায় নিরীহ ভুক্তভোগী দুলাল মিয়ার অভিযোগ, পর সম্পদ লোভী ছাদির মিয়া আমার পিতার মৃত্যুর পর থেকে সুলতানপুর মৌজার ২২৭৩ নং বি এস খতিয়ানের সাবেক সেঃ মেঃ ৩৬১০ দাগ,৩১৭৮ হাল দাগের ২২ শতক বসত ভিটা জমি ভূয়া জাল দলিল করে ছাদির মিয়া দখলে নিয়ে বর্তমানে মামলা চলমান অবস্থায় উক্ত ভিটায় জোরপূর্বক বিল্ডিং ঘর নির্মাণ করছে। দুলাল মিয়া জানায়,ছাদির মিয়া গংদের ভয়ে মুখ খুলতে পারিনা, কিছু বলার আগেই তার ছেলে দেলোয়ার মিয়া,রামদা, লাঠি, ছুরি,বল্লম ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রাাদি নিয়ে আমার পরিবারের উপর হামলা করে, আমি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হয়েও তাদের ভয়ে কিছুই বলতে পারিনা। তাদের অত্যাচারে এই গ্রামে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করাও অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার অনেকেরই বক্তব্য মতে জানা যায, ছাদির মিয়ার ছেলে দেলোয়ার মিয়া ওই এলাকার একজন উশৃংখল গোয়াড় ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। আমি আমার পৈতৃক সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) আদালতে একটি সি আর মামলা দায়ের করি, যার নং-২৩৭/২৪ ইং। জোরপূর্বক পাকা ঘর নির্মাণ বন্ধ করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৪৪/১৪৫ ধারার বিধানমতে নিষেধাজ্ঞার একটি পিটিশন মামলার আবেদন করেন দুলাল মিয়া, যার নং ১৮৬/২৪ ইং। ০৪,০৩, ২৪ ইং। ধারা-১৪৫,স্মারক নং ৪৬১। আবেদন করলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার সাব-ইন্সপেক্টর আবু বক্কর সিদ্দিক দখলদার ছাদির মিয়া গংদের পাকা ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বললেও তারা অদ্যাবধি পেশী শক্তির বলে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন আমি কাজ বন্ধ রাখতে বলে এসেছি, কিছুদিন বন্ধও ছিল, এখন কাজ করছে কিনা আমার জানা নেই। দুলাল মিয়ার দাবি এখন তারা কাজ বন্ধ রাখুক, আদালতের সিদ্ধান্ত অনুসারে জমি তারা পাইলে পাকা ঘর নির্মাণ করুক সমস্যা নেই। নিরীহ দুলাল মিয়া একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হয়ে আদালতের মাধ্যমে পৈত্রিক ভিটেমাটি ফিরে পেতে চায়। সে ভূমিদস্যদের কবল থেকে বাঁচতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা কর্মকর্তাবৃন্দ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
What's Your Reaction?