তীব্র গরম ও ঘন ঘন লোডশেডিং অতিষ্ঠ আত্রাই উপজেলা বাসী
তীব্র গরম ও ঘন ঘন লোডশেডিং-এ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে নওগাঁর আত্রাই উপজেলাবাসী। জানা যায়, বিভিন্ন সুত্রে কথা ছিলো পবিত্র মাহে রমজানে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎতের ব্যবস্থা কমিয়ে আনা হবে। কিন্তু রমজানে তার উল্টোটা করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ লোডশেডিং এ বিপর্যস্ত অবস্থা ব্যবসায়ী, বোরো চাষি সহ সাধারণ মানুষের।
একদিকে গরম অন্যদিকে লোডশেডিং এই দুই মিলে যেন নাজেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে নওগাঁ সহ আত্রাই উপজেলা বাসীর। মাহে রমজান মাসে ইফতার, তারাবি এমনকি সেহরির সময়ও ঠিক মত থাকছে না বিদ্যুৎ। ঘন ঘন লোডশেডিং আক্রান্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরাও, লেখাপড়ায় ভীষণ সমস্যা হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকায় বোরোধানের জমিতে সেচ দিতে পারছেনা বোরো, বিভিন্ন সবজি ও ভুট্টা চাষিরা।
এবিষয়ে ব্যবসায়িক মহলের সাথে কথা বললে তারা জানান , সকালে দোকান খুললে বিদ্যুৎ থাকেনা আমাদের অবস্থা খুব খারাপ। বিদ্যুৎ না থাকায় আমাদের ব্যবসা করতে কষ্ট হয়ে পড়েছে। উপজেলার চৌধুরী ভবানীপুর মোজার বিদ্যুৎ চালিত গভির নলকূপের অপারেটর জয়নুল হক বলেন ঘন ঘন এ লোডশেডিং এর কারনে তার নলকূপের এরিয়ায় ধানের জমিতে পানি সেচ দিতে পারছেনা। আগামী কয়েক দিন এমন লোডশেডিং থাকলে বোরোধানের ব্যপক ক্ষতি হবে। তাদের দাবি আমরা চাই বিদ্যুৎ ২৪ ঘন্টায় থাকুক যাতে আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম ও বোরো ধানে সেচ দিতে সুবিধা হয়।
উপজেলার মির্জাপুর মাদ্রাসা মসজিদের ইমাম মাওলানা কামরুল ইসলাম বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের কোন অনুষ্ঠান হলে বিদ্যুৎ সর্বদা সার্ভিস দিয়ে থাকলেও মুসলমানদের ধর্মীয় রমজান মাস, আর এ মাসে সেহেরি,ইফতার, তারাবি নামাজের সময় সহ গতকাল ২৭ শে রমজানের রাত্রীতে ইবাদত বন্দেগি পালনে বিদ্যুৎ না থাকায় অনেক কষ্ট করে তিব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে আমরা ঠিকমতো ইবাদত বন্দেগি করতে পারিনি।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে সরিজমিনে ঘুরে জানা গেছে, বিদ্যুৎ না থাকায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন বৃদ্ধ ও শিশুরা। শিশু ও বৃদ্ধরা এমনিতে নানান অসুখের মধ্যে পড়েন তার মধ্যে বিদ্যুৎ থাকেনা তাদের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়।
চলতি মাসে নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলা সহ সকল উপজেলায় অধিক হারে বেড়ে গেছে লোডশেডিং এই লোডশেডিংয়ে দিনে রাতে ঘন্টায় ঘন্টায় বিদ্যুৎ যাওয়া আসা করে, এ থেকে কখন যে মুক্তি পাওয়া যাবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানান প্রশ্ন। উপজেলা বাসীর একটাই দাবী লোডশেডিং কমানো হোক অন্তত রমজান ও বোরো মৌসুমের দিকে লক্ষকরে লোডশেডিং যেন না দেওয়া হয়।
এবিষয়ে আত্রাই পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম বলেন আত্রাই উপজেলায় গতকাল বিদ্যুতের চাহিদা ছিলো ১৬ মেগাওয়াট। জাতীয় গ্রীড নওগাঁ থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৬.৮ মেগাওয়াট, লোডশেডিং আছে ৯.২ মেগাওয়াট, বরাদ্দের শতকরা হার ৪২.৫%। চাহিদার চেয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ কম পাওয়ায় এলাকা ভিত্তিক বাইরোটেশনালি লোডসেডিং হচ্ছে।ঈদের ছুটিতে বা বৃষ্টি হলে লোড চাহিদা কিছুটা কমতে পারে।সন্মানীত গ্রাহকদের সকলকে ধৈর্য্য ধারন সহ সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
What's Your Reaction?