দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে মৃৎশিল্প, তবুও নগরকান্দার ৩৫ টি পরিবার ধরে রেখেছে তাদের আদিপেশা
দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে মৃৎশিল্প, তবুও নগরকান্দার ৩৫ টি পরিবার ধরে রেখেছে তাদের আদিপেশা
ফরিদপুরের নগরকান্দার রামনগর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের পাল পাড়ার মৃৎ শিল্পের কারিগরা সারা বছর জুড়েই মাটি দিয়ে বাহারি ধরনের জিনিসপত্র বানাতে ব্যস্ত থাকে।
প্রাচীনকাল থেকে বংশনুক্রমে গড়ে ওঠা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মৃৎ শিল্প আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। যারা মাটি নিয়ে কাজ করে পেশায় তারা কুমার, আবার অনেকে বলে পাল।
দিন দিন যেভাবে এ শিল্প বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে তাতে তারা এ পেশা নিয়ে বেশ চিন্তিত।
কুমারপাড়ার মেয়েদের ব্যস্ততা এখন অনেক কুমে গেছে।
কাঁচামাটির গন্ধ তেমন পাওয়া যায় না। হাটবাজারে আর মাটির তৈজসপত্রের পসরা তেমন একটা বসে না।
তবে নির্মম বাস্তবতার সঙ্গে যুদ্ধ করে এখনো কিছু জরাজীর্ণ
কুমার পরিবার ধরে রেখেছেন বাপ-দাদার এই ব্যবসা।
নগরকান্দায় এমন একটি গ্রাম রয়েছে যেখানে এখনো বাংলার ঐতিহ্য তারা ধরে রেখেছে। এমনি একটি গ্রাম হচ্ছে
গোপালপুর। ওই পাল পাড়ায় বসবাস করে ৩৫ টি পাল পরিবার।
তাদের বাড়ির সামনে ছোট্ট উঠান। উঠানজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে কাদামাটির তৈরি হাঁড়ি,পাতিল, কড়াই কলস,ফুলের টপ ও দইয়ের খুঁটিসহ ছোট-বড় নানা রকমের পাত্র।
এমনকি হিন্দু ধর্মালম্বীদের বিভিন্ন পুঁজা উৎসবকে সামনে রেখে তারা নিপুণ হাতে তৈরি করে প্রতিমা।
এ শিল্পের সাথে জড়িতদের শিক্ষা ও জীবনযাত্রার মান অনুন্নত হলেও তাদের মধ্যে রয়েছে অসাধারণ নিপুণ শৈল্পীক গুণাবলী।
এসকল জিনিসপত্র তারা পাইকারি ও বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করে থাকেন। কোনমতে দিন কাটছেন পাগল পাড়ার কুমারদের জীবন। মাটির অভাবে বেশি জিনিসপত্র এখন আর বানাতে পারছেনা। কারণ বর্তমানে মাটিও তাদের কিনতে হচ্ছে।
নগরকান্দার এসব কুমারদের সহযোগিতার হাত বাড়াতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
What's Your Reaction?