ধর্ষণকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে রাণীনগরে মানববন্ধন

কাজী আনিছুর রহমান, রাণীনগর প্রতিনিধি, নওগাঁঃ
Mar 13, 2025 - 11:18
 0  6
ধর্ষণকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে রাণীনগরে মানববন্ধন

দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে নওগাঁর রাণীনগরে এক প্রতিবাদ র‌্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১২ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে আস্থা উপজেলা যুব ফোরামের উদ্যোগে এই কর্মসূচি আয়োজিত হয়।

র‌্যালিটি রাণীনগর সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে অংশগ্রহণকারীরা ধর্ষণবিরোধী নানা স্লোগান দেন এবং ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগের দাবি জানান। র‌্যালি শেষে সদরের বটতলায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মী, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন আস্থা উপজেলা যুব ফোরামের উপদেষ্টা প্রভাষক মতিউর রহমান স্বপন। তিনি বলেন, “বর্তমানে দেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে। এ ধরনের অপরাধ রুখতে হলে কঠোর আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।”

এ সময় আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি মো. মনোয়ার হোসেন, সিনিয়র ফিল্ড অফিসার আব্দুল মুন্নাফ, সংগঠনের নারী সদস্য নুপুর, শিক্ষার্থী এস.কে. নাঈম ও মোছা. হাবিবা।

বক্তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, ধর্ষণের শিকার নারীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, অনেক ক্ষেত্রে অপরাধীরা আইনের ফাঁকফোকর গলে মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে। তারা দ্রুত বিচার আইনের আওতায় ধর্ষণের মামলাগুলো নিষ্পত্তি করার দাবি জানান। পাশাপাশি, ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি (মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড) নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

মানববন্ধনে উপস্থিত সাধারণ মানুষও ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার পক্ষে মত দেন। তারা বলেন, অপরাধীরা যেন কোনোভাবেই আইনের দৃষ্টিতে ছাড় না পায় এবং শাস্তির নজির স্থাপন করা হয়, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ করার সাহস কেউ না পায়।

আস্থা উপজেলা যুব ফোরামের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে ধর্ষণবিরোধী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ৩ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। প্রথমত, ধর্ষণকারীদের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, নারীদের নিরাপত্তার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন, কর্মক্ষেত্র ও জনসমাগমস্থলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। তৃতীয়ত, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সদস্য ও স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। কর্মসূচি শেষে আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতেও এ ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow