ধর্ষণের পর হত্যা, ভাঙ্গায় পাটক্ষেত থেকে কিশোরীর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার
ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌরসভাধীন হোগলা-ডাঙ্গী সদরদী গ্রামের একটি পাটক্ষেত থেকে এক কিশোরীর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধায় ওই গ্রামের ইকরাম মাতুব্বরের পাটক্ষেত থেকে রেখা আক্তার(১৩)নামের ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে ওই গ্রামের কৃষক হাই মাতুব্বরের মেয়ে। তাকে ধর্ষণের পর গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তার গলায় দাগ রয়েছে বলে স্বজনরা জানান।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,দুপুরে মেয়েটি তাদের বাড়ীর পাশে পুকুরে গোসল করতে যায়। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে যাওয়ার পরে ও মেয়েটি বাড়ীতে ফিরে না আশায় পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজাখুঁজি করতে থাকে।
বিকেলে এক কৃষক পাটের ক্ষেতের আইল দিয়ে জমিতে ধান বুনাতে গেলে ইকরাম মাতুব্বরের পাট ক্ষেতের মধ্যে ওড়না দিয়ে মুখ বাধা উলঙ্গ অবস্হায় মেয়েটির মরদেহ দেখতে পেয়ে স্হানীয় গ্রামবাসী ও পুলিশকে খবর দেন।
খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ,ডিবি,সিআইডির একটি চৌকস টিম ঘটনাস্হলে এসে পাটক্ষেত থেকে লাশটি উদ্ধার করে ভাঙ্গা থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মামুন আল রশিদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পাটক্ষেতের মাঝে মরদেহটি দেখতে পাই। ধারনা করা হচ্ছে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ, ডিবি, সিআইডি,ক্রাইমসিনের সদস্যরা কাজ করছে। আশা করি,অচিরেই ঘাতককে সনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে। এ ব্যাপারে ভাঙ্গা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তালাত মাহমুদ শাহান শাহ সাংবাদিকদের জানান, খবর পেয়ে পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনা স্হলে ছুটে যাই এবং লাশটি উদ্ধার করে নিয়ে আসি।
এলাকা বাসীর ধারনা মেয়েটিকে দুর্বত্তরা সংঘবদ্ধ ভাবে হয়তো ধর্ষণ করে পরে তাকে হত্যা করেছে। মরদেহটি ময়নাতদন্ত করার পরে আমরা প্রকৃত ঘটনাটি জানতে পারবো।প্রকৃত দোষীদের অতি সত্তর গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।
উল্লেখ্য, ভাঙ্গায় পরপর তিনটি লাশ উদ্ধার হওয়ায় সবার মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
What's Your Reaction?