নওগাঁয় কোরবানীর জন্য প্রস্তুত ৭ লাখ পশু, যা চাহিদার তুলনায় দ্বিগুণ
![নওগাঁয় কোরবানীর জন্য প্রস্তুত ৭ লাখ পশু, যা চাহিদার তুলনায় দ্বিগুণ](https://www.kholachokh24.com/uploads/images/202406/image_640x_360_6662aa8e1c503.jpg)
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নওগাঁয় এবার কোরবানির জন্য ৭ লাখেরও বেশি গবাদিপশু প্রস্তুত করেছেন প্রান্তিক কৃষক ও খামারিরা, যা চাহিদার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। ফলে উল্লিখিত জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলায় বিক্রির জন্য চলে যাবে এসব পশু। এদিকে এবার অন্তত ২ হাজার ১১ কোটি ১৫ লাখ টাকার বেশি পশু বিক্রির আশা করছে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলার ১১ উপজেলায় ৩৪ হাজারেরও বেশি ছোট- বড় খামারি ও কৃষক ৭ লাখ ২৮ হাজার ১১০টি বিভিন্ন জাতের গরু, মহিষ, ছাগল এবং ভেড়া পালন করছেন। এর মধ্যে ষাঁড় ৯১ হাজার ৪৭টি, বলদ ২৯ হাজার ১১১টি, গাভী ৬৫ হাজার ৬৮টি, মহিষ ২ হাজার ৪০৩টি, ছাগল ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৯২৯টি ও ভেড়া ৭৫ হাজার ৫৫২টি। জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৭৫৯টি। এ চাহিদা মিটিয়ে ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৭৫৯টি পশু বিভিন্ন জেলায় বিক্রির জন্য চলে যাবে।
ঈদ সামনে রেখে প্রতিটি খামারেই ব্যস্ত সময় পার করছেন মালিক-কর্মচারীরা। গরুকে নিয়মিত গোসল করানো, সময় মতো খাবার দেওয়া,ঘর পরিষ্কারসহ বিভিন্ন কাজ করছেন তারা। কোনো রকম ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার ছাড়াই প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে পশু মোটাতাজাকরনে নিচ্ছেন বাড়তি যত্ন, যাতে করে ভালো দামে বিক্রি করতে পারেন।
তবে এ বছর গো-খাদ্যের লাগামহীন দাম বৃদ্ধিতে গরু লালন-পালনে খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ। ফলে দাম কিছুটা বাড়তে পারে। এ ছাড়া ভালো দামে গরু বিক্রি করতে পারবেন কি না তা নিয়েও রয়েছে দুশ্চিন্তা। পাশাপাশি সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় সীমান্ত পথে অবৈধভাবে গরু প্রবেশও ভাবিয়ে তুলছে খামারিদের।
খামারি সাইফুর রহমান বলেন, প্রতি বছর কোরবানি উপলক্ষে ৩৫ থেকে ৪০টি গরু প্রস্তুত করা হলেও এ বছর ২৫টির মতো গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। এ বছর গরু লালন-পালনে খরচ অনেক বেশি। এ জন্য স্বাভাবিকভাবেই গরুর দাম বেশি হওয়ার কথা।
সদর উপজেলা বরুণকান্দি এলাকার খামারি লুৎফর রহমান বলেন, তার খামারে ১৫টি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রাকৃতিক সবুজ ঘাস ও দানাদার খাবার দিয়ে লালন-পালন করা হচ্ছে। প্রতিদিন গরুকে গোসল, খাবার ও পরিচর্যা করা হয়। দিনে ২ বার গোসল করানো হয়। তবে এ বছর দানাদার খাবারের দাম বেশি হওয়ায় পশু লালন-পালন করতে খরচ পড়েছে বেশি। গত বছরের তুলনায় দানাদার খাবারের দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। এখন দাম ভালো পেলে লাভবান হওয়া সম্ভব। না হলে খামারিদের লোকসান হবে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবু তালেব বলেন, এবার অন্তত ২ হাজার ১১ কোটি ১৫ লাখ টাকার বেশি পশু বিক্রির আশা করা হচ্ছে।
What's Your Reaction?
![like](https://www.kholachokh24.com/assets/img/reactions/like.png)
![dislike](https://www.kholachokh24.com/assets/img/reactions/dislike.png)
![love](https://www.kholachokh24.com/assets/img/reactions/love.png)
![funny](https://www.kholachokh24.com/assets/img/reactions/funny.png)
![angry](https://www.kholachokh24.com/assets/img/reactions/angry.png)
![sad](https://www.kholachokh24.com/assets/img/reactions/sad.png)
![wow](https://www.kholachokh24.com/assets/img/reactions/wow.png)