নগরকান্দায় নিকাহ রেজিস্ট্রারের প্রতারণা প্রমাণিত, ছয় মাসের কারাদণ্ড

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী মৌলভি মনিরুল ইসলাম হেমায়েতকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাইচাইল গ্রামের গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে ২০২২ সালে নগরকান্দা থানায় একটি মামলা (সি.আর মামলা নং- ২৫৬/২০২২) করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, কাজী মৌলভি মনিরুল ইসলাম বিয়ে নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রতারণা করেছেন। সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত তাকে দণ্ডবিধির ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানার ভিত্তিতে পুলিশ তাকে আটক করে কারাগারে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাজী মৌলভি মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চেক জালিয়াতি, স্ট্যাম্প জালিয়াতি, জমি কেনাবেচায় প্রতারণা, বর-কনের স্বাক্ষর জাল করে বিয়ে নিবন্ধন, ভুয়া তালাকনামা তৈরি ইত্যাদি।
ভুক্তভোগীদের একজন, শিক্ষক আবুল হাসান জানান, "এক নারীকে দিয়ে ভুয়া কাবিননামা তৈরি করিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছিল। আমি আদালতে প্রতারণার অভিযোগ করলে সিআইডি তদন্ত করে কাবিননামা ভুয়া প্রমাণ করে। এরপর কাজী ও ওই নারী কারাগারে যান।"
লস্করদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বাবুল তালুকদার বলেন, "যে কাজী মৌলভির কারণে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে, তার প্রয়োজন নেই। তার বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগ পেয়েছি।"
এদিকে, নিকাহ রেজিস্ট্রার কারাগারে থাকায় ইউনিয়নের বিয়ে নিবন্ধন কার্যক্রমে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিয়ের কাবিননামা, নকল সংগ্রহসহ নানা কাজে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয়রা।
What's Your Reaction?






