নদী থেকে কৃষকদল নেতার মরদেহ উদ্ধার,পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যা
নওগাঁ শহরের ছোট যমুনা নদী থেকে এক কৃষকদল নেতার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। মরদেহটির সনাক্তের পর শুক্রবার বাদ জুম্মা নামাজের পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ওই বিএনপি নেতার নাম মৃত আব্দুল রাজ্জাক। নওগাঁ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের চকপ্রসাদ শাহাপাড়া মহল্লার মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে এবং ওয়ার্ড কৃষক দলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক। গত মঙ্গলবার থেকে সে নিখোঁজ ছিল।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে স্ত্রীর সঙ্গে শেষ কথা হয়। রাতে শাশুরি ফোন দিয়ে জানান রাজ্জাক বাড়িতে নেই রাতেও আসে নাই। বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় কাজের উদেশ্য বাড়ি থেকে বাহির হয়। বুধবার রাত ফোন দিলে ফোন বন্ধ পান। তারপর থেকে নিখোঁজ ছিলো সে সময় মেয়ের বাড়ি সাতক্ষীরায় ছিলেন রাজ্জাক এর স্ত্রী। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে জানতে পারেন তার স্বামীর মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত বিএনপি নেতা আব্দুল রাজ্জাক এর স্ত্রী শাহিদা আক্তার বলেন, ‘আমার সাথে শেষবারের মত কথা হয় মঙ্গলবার দুপুরে। তার পর থেকে আর কথা হয়নি। বুধবার থেকে থেকে আমার স্বামীর মোবাইল ফোন বন্ধ পাই। আমার স্বামী পেশায় একজন কাঁঠমিস্ত্রী এবং পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতির সাথেও জড়িত। একজন সুস্থ্য -সবল মানুষ বাড়ি থেকে বের হয়ে লাশ হয়ে ফিরবে তার কল্পনার বাহিরে। আমাদের পারিবারিক কোন ঝামেলা নাই। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। আমরা থানায় হত্যা মামলা করবো। যারাই এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তাদের কঠিন শাস্তি চাই।
আব্দুল রাজ্জাক এর মেয়ে সাথী আক্তার বলেন, ‘বাবার সাথে যখন শেষ বারের মত কথা হয় তখন বাবা খুব হাঁসিখুশি ছিল। তার কথায় কোন রকম হতাশা ও চিন্তা লক্ষ্য করিনি। আমাদের ধারনা বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা করে বস্তাবন্দী করে নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে। যদি ছিনতাইকারীদের আক্রমনে পড়তো তাহলে বাবার গলায় সোনার চেইন ও হাতে আংটি ছিল সেগুলো নিয়ে ছেড়ে দিতো। বাবার মাথায় কুড়াল বা ভাড়ি কিছু দিয়ে আঘাত করে মেরে নদীতে ফেলে দিয়েছে। এটা হত্যাকান্ড। আমরা এর সুষ্ট বিচার চাই। যারা আমাকে বাবা হারা করেছে তাদের দ্রুত আইন এর আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছি।’
নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, উদ্ধারকৃত মরদেহ সনাক্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের এর প্রস্ততি চলছে। ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হবে।
What's Your Reaction?