না ফেরার দেশে কুবি শিক্ষার্থী তিন্নি

রক্ত সংক্রমণ ও ফুসফুসজনিত জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আইন বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তিন্নি আক্তার (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
তিন্নির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি দীর্ঘ চার মাস ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। একাধিক চিকিৎসকের পরামর্শে তার হৃদযন্ত্রের জটিলতার বিষয়টি জানা গেলেও সম্প্রতি অবস্থার অবনতি ঘটে। সোমবার সকাল ৭টার দিকে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাঁকে রাজধানীর মহাখালীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর ফুসফুস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আইন বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইয়াসিন পাঠান সৈকত বলেন, “এর আগেও পরীক্ষার সময় তিন্নি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তখনও তাকে হাসপাতালে নিতে হয়েছিল। তবে তখন এতটা গুরুতর মনে হয়নি। আজ দুপুরে তার ছোট ভাই রক্তের প্রয়োজন জানায়, সন্ধ্যায় তার মৃত্যুর খবর পাই।”
তিন্নির চাচাতো ভাই আফজাল হোসেন বলেন, “তিন্নি অসুস্থ হলে প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসা, কবিরাজি চিকিৎসা এবং নরসিংদী সদরের একটি হাসপাতালেও চিকিৎসা নেওয়া হয়। আজ অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে রাজধানীতে এনে আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।”
এ বিষয়ে আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আলী মোরশেদ কাজেম বলেন, “তিন্নির অসুস্থতার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে বিভাগকে জানানো হয়নি। তাই আমরাও সেভাবে জানতাম না। তবে এমন হৃদয়বিদারক খবরে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।”
What's Your Reaction?






