নাইক্ষ্যংছড়িতে এসপিঃ যার ভোট সে দেবে,যাকে খুশি তাকে দেবে
আসন্ন ২১ মে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নাইক্ষ্যংছড়ির দুর্গম এলাকার তিনটি পুলিশ স্টেশন পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন সাংবাদিকদের বলেছেন, যার ভোট সে দেবে,যাকে খুশি তাকে দেবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল পর্যন্ত যখন খুশি তখন দেবে। নির্বাচনকালীন সময়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী এমন কঠোর থাকবে কেউ কল্পনাও করতে পারবে না।
তিনি আরো বলেন,সবাই নিশ্চিত থাকেন- ভোট সুষ্ট হবে,অনিয়ম হবে না । কেউ কারচুপি বা পরিবেশ নষ্ট করতে চাইলে তার পরিনতি হবে ভয়াবহ। কাউকেও ছাড় দেওয়া হবে না।
শুক্রবার ( ১৭ মে) বিকেলে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দুর্গম কাগজি খোলা পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা ও পুলিশ ফাঁড়ি পরিদর্শণ শেষে এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি
বাইশারী পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ও দুর্গম আলিক্ষ্যং পুলিশ ফাঁড়ি পরিদর্শণ করেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন,নির্বাচনকালে সন্ত্রাসী বা উগ্র কোন গোষ্ঠী মাথাচড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। সীমান্ত এলাকা হওয়া অবৈধ অস্ত্র বা যে কোন ধরণের মরণঘাতী অস্ত্রের বিষয়ে পুলিশ মাঠে নেমেছে খাকি পোষাক ও সাদা পোষাকে।
এছাড়া গোয়েন্দারাও মাঠে কাজ করছে অবৈধ অস্ত্রের বিষয়ে। সুতারাং নির্বাচন বানচাল বা পরিবেশ নষ্টকারী রাষ্ট্রের কল্যাণ চায় না। সরকার চায় সুষ্ট নির্বাচন। তাই সুষ্ঠ নির্বাচনে আইন ভঙ্গ না করতে তিনি সকলে সহযোগীতা চান।
এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আবদুল মান্নান,কাগজিখোলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মনজুর কাদের ভূঁইয়া,নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি মাঈনুদ্দিন খালেদ, সাবেক সভাপতি ইফসান খান ইমন ও প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য আবদুর রশিদ প্রমূখ।
উল্লেখ্য যে আগামী ২১ মে ২০২৪ ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দ্বিতীয় ধাপের আওতায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও লামা এই দুইটি উপজেলায় অনুষ্ঠিত হবে- উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।
তবে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) কর্তৃক গত দুই ও তিন এপ্রিল রুমা ও থানচি উপজেলায় সোনালী ও কৃষি ব্যাংক তিনটি শাখায় ব্যাংক ডাকাতি, ১৪ টি অস্ত্র লুটৈর কারণে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনী অভিযান চলমান রয়েছে।
এর ফলে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত প্রথম ধাপের থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলা- ৮মে এবং রুমা উপজেলা দ্বিতীয় ধাপের ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্ধারিত তারিখ ছিল।
গত ২৩ এপ্রিল ওই তিনটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন। ফলে এই তিনটি উপজেলায় চলমান যৌথবাহিনী অভিযানের কারণে স্থগিত রয়েছে।
এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরে নির্বাচন কমিশন এই তিনটি উপজেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য তারিখ পূর্ণ নির্ধারণ ঘোষণা করবে বলে উপজেলা পরিষদ সংশ্লিষ্ট ওরা জানিয়েছেন।
What's Your Reaction?