নাজিরপুরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর বিয়ের অভিযোগ

পিরোজপুরের নাজিরপুরে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে অপহরণ করে জোরপূর্বক বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা লিটন মণ্ডল বাদী হয়ে অভিযুক্ত যুবক নয়ন শিকারীসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন।
গত ২ মার্চ সকাল ১০টায় নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের চৌগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী পরিবারের তথ্য অনুযায়ী, নয়ন শিকারী দীর্ঘদিন ধরে মেয়েটির বাড়িতে দিনমজুর হিসেবে কৃষিকাজ করত। সেই সূত্রে মেয়েটির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। পরে স্কুলে যাওয়ার পথে কয়েকজন বখাটের সহায়তায় নয়ন শিকারী মেয়েটিকে অপহরণ করে। এরপর শাঁখা-সিঁদুর পরিয়ে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
মেয়েটির মা কবিতা মণ্ডল বলেন, "আমার মেয়ে প্রতিদিনের মতো ২ তারিখও স্কুলে গেছে। কিন্তু তারপর থেকে নিখোঁজ। আমি প্রতিদিন অপেক্ষা করছি, কখন আমার মেয়ে ফিরে আসবে।"
মেয়ের দাদা নারায়ণ চন্দ্র মণ্ডল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "থানায় গিয়েও কোনো বিচার পাচ্ছি না। ১৫-১৬ দিন ধরে ঘুরছি, কিন্তু নাতনিকে উদ্ধার করা হচ্ছে না। পুলিশ যেমন বলেছে, আমি সব তেমনই করেছি। যদি আমার নাতনিকে না পাই, তাহলে আত্মহত্যা করব।"
স্থানীয় এক স্কুলশিক্ষক বিপুল মৃধা বলেন, "ওইশি অনেক মেধাবী ছাত্রী। আমি শুনেছি, একদল সন্ত্রাসী তাকে অপহরণ করেছে।"
নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহামুদ আল ফরিদ ভূঁইয়া বলেন, "নয়ন শিকারী মাঝে মাঝে বাদীর বাড়িতে কাজ করত, সেখান থেকেই তাদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা ভুক্তভোগীকে উদ্ধারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এবং আশা করি দ্রুত উদ্ধার করতে সক্ষম হবো।"
What's Your Reaction?






