নাবিল গ্রুপের ১৭৮ বিঘা জমি জব্দের নির্দেশ

নাবিল গ্রুপের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, তার স্ত্রী ইসরাত জাহান ও তাদের চার প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ১৭৮ বিঘা জমি জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এসব সম্পদ রাজশাহীর পবা উপজেলার তেকাটাপাড়ায় অবস্থিত।
ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে উপ-পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান সম্পদ জব্দের আবেদন করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, নাবিল গ্রুপের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, তার পরিবারের সদস্য এবং তাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জালিয়াতি, প্রতারণা, ঘুষ-দুর্নীতি ও ব্যাংক ঋণ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ অনুসন্ধানের সময় তাদের স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি বা স্থানান্তরের শঙ্কা থাকায় আদালতে সম্পদ জব্দের আবেদন করা হয়, যা পরে বিচারক মঞ্জুর করেন।
জব্দকৃত সম্পদের মধ্যে রয়েছে— আমিনুল ইসলামের নামে ১৩২ বিঘা, তার স্ত্রী ইসরাত জাহানের নামে ২৩ বিঘা, নাবিল ফার্মা লিমিটেডের নামে ১৩ বিঘা, আনোয়ার ফিড মিলস লিমিটেডের নামে প্রায় ১ বিঘা, নাবিল গ্রেট হোমস লিমিটেডের নামে প্রায় ৯ বিঘা এবং নাবিল নাবা ফুডসের নামে ৮ শতক।
নাবিল গ্রুপ দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যা কৃষিভিত্তিক শিল্প, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, ফার্মাসিউটিক্যালস, রিয়েল এস্টেট এবং পশুখাদ্য উৎপাদনসহ নানা খাতে ব্যবসা পরিচালনা করে। রাজশাহী অঞ্চলে এ প্রতিষ্ঠানের প্রভাব ব্যাপক, যেখানে হাজারো শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেন।
দুদক জানায়, নাবিল গ্রুপের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংসহ অন্যান্য আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান শুরু হয়। তদন্তের স্বার্থে সম্পদ জব্দ করা হলেও তদন্ত শেষে আনুষ্ঠানিক চার্জশিট দাখিল করা হতে পারে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আদালতের এ নির্দেশ নাবিল গ্রুপের ব্যবসা পরিচালনায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। পাশাপাশি, প্রতিষ্ঠানটির কর্মীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে। তবে তদন্ত চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত নাবিল গ্রুপের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে নাবিল গ্রুপের কোনো বক্তব্য পাওয়া গেলে প্রতিবেদন হালনাগাদ করা হবে।
What's Your Reaction?






