নাসিরনগরে ইউপি সদস্যের গোডাউন থেকে নকল সার জব্দ

মাহমুদুল হাসান,স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
Jan 23, 2025 - 21:52
 0  6
নাসিরনগরে ইউপি সদস্যের গোডাউন থেকে নকল সার জব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় এক ইউপি সদস্যের গোডাউন থেকে ৪৯ বস্তা টিএসপি ও ডিপিএ নকল সার উদ্ধার  করেছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইমরান হোসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের দাতমন্ডল গ্রামে মেসার্স কাউছার এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোঃ কাউছার নামে এক ডিলারের গোডাউনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এসব নকল সার উদ্ধার করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রবিউস সারোয়ার। তাকে সহযোগীতা করেন কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন ও নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পুতুল রানী।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দাতমন্ডল গ্রামের ৩ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা মোঃ কাউছার মিয়া নকল সারের ব্যবসা করে আসছিলো। বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে স্থানীয়রা জানালেও প্রমাণের অভাবে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি। বুধবার সন্ধ্যার দিকে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে। এ সময় যুবলীগ নেতার গোডাউন থেকে ৪৯ বস্তা টিএসপি ও ডিএপি নকল সার উদ্ধার করা হয়। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অভিযুক্ত হওয়ায় এক মামলায় পলাতক থাকায় তাকে পাওয়া যায়নি। পরে গোডাউনে থাকা কর্মচারী রিপন মিয়াকে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করে ভ্রাম্যমান আদালত। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দাতমন্ডল গ্রামের একাধিক কৃষক বলেন,দীর্ঘদিন ধরে কাউছারের কাছ থেকে সার কিনে জমিতে দেওয়া হচ্ছে কিন্তু জমিতে তার কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছেনা। পরে বিষয়টি কৃষি অফিসারকে জানাই। তারা যাচাই করে দেখেন সব সার নকল।
নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পুতুল রানী বলেন, শুনেছি ৩ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্যের গোডাউনে নকল সার বিক্রি হচ্ছে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে সার জব্দ করেছে।
উপজেলা সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইমরান হোসাইন বলেন,‘‘ আমি  এ অফিসে যোগদান কার পর থেকেই শুনছি নাসিরনগরের কিছু এলাকায় নকল সার বিক্রি হচ্ছে। এরপর খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে নকল সার জব্দ করা হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রবিউস সারোয়ার বলেন, ‘‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪১ ধারা লঙ্ঘনের  দায়ে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। পাশাপাশি তার লাইসেন্সটি বাতিল করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow