নিখোঁজের ১৬ দিন পর কিশোর রেজোয়ানের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

নিখোঁজের ১৬ দিন পর রাজশাহীতে রেজোয়ান ইসলাম (১৫) নামে এক কিশোরের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে মামলার প্রধান আসামি পাপ্পুর স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার নগরপাড়া তালপুকুর মহল্লার একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত রেজোয়ান মহানগরীর উপকণ্ঠে লিলি সিনেমা হল মোড় এলাকার বাসিন্দা এবং রিকশাচালক বাবু ইসলামের ছেলে।
দামকুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ২৩ মার্চ দুপুরে স্কুল বন্ধ থাকায় প্রতিবেশি পাপ্পু রেজোয়ানকে গোদাগাড়ী উপজেলার কাকনহাটে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল। ওই রাতেই রেজোয়ানের বাবা বাবু ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন।
মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি পাপ্পুসহ তার ভাই পিয়াস (২০), পবার হরিপুর এলাকার রাসেল (৪০), মানিক (২২) এবং রিপনকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার (৭ এপ্রিল) তাদের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। পরদিন পাপ্পুর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরিত্যক্ত ঘরটি থেকে রেজোয়ানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওসি রবিউল ইসলাম আরও জানান, রেজোয়ানের মুখ ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল। মরদেহটি অর্ধগলিত অবস্থায় ছিল এবং তীব্র দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। মরদেহটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, আসামিরা মূলত অটোরিকশা ছিনিয়ে নিতে রেজোয়ানকে হত্যা করে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদেও তারা তা স্বীকার করেছে।
এদিকে মরদেহ উদ্ধারের পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযুক্ত পাপ্পুর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। নিহত রেজোয়ানের স্বজন ও প্রতিবেশিরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ।
নিহত রেজোয়ানের পরিবারের দাবি, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তারা দ্রুত বিচার ও দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
What's Your Reaction?






