নোয়াখালীতে ইটভাটা মালিক-শ্রমিকদের বিক্ষোভ, স্মারকলিপি প্রদান

নোয়াখালীতে ইটভাটাগুলোতে অবাধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, জরিমানা ও ব্যাপক ভাঙচুরের প্রতিবাদে বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুর ১২টায় মাইজদী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি মাইজদী শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে মানববন্ধনে মিলিত হয়। শেষে বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ৭টি দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি ইসমাইল ও সাধারণ সম্পাদক কে এম আফতাব উদ্দিন। এছাড়াও সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, দেশের রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে ব্যবহৃত ইট সরবরাহ করে ইটভাটাগুলো উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে। ইটভাটার মালিকরা বায়ুদূষণ রোধে সরকার নির্দেশিত আধুনিক প্রযুক্তির জিগজাগ ভাটা স্থাপন করে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। বর্তমানে ইটভাটাগুলো মাত্র ৫-১০% বায়ুদূষণ করছে, অথচ পূর্বে এই দূষণের মাত্রা ছিল ৫৮৭%।
তারা আরও বলেন, এই শিল্পে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক কর্মরত আছে, যা ৫০ লাখ পরিবারের রুজি-রোজগারের ব্যবস্থা করে। ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেলে এই বিপুল সংখ্যক মানুষ বেকার হয়ে পড়বে। এছাড়াও প্রতিটি ইটভাটার বিপরীতে ১ কোটি টাকার বেশি ব্যাংক লোন রয়েছে, যা প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। ইটভাটা বন্ধ হলে এই ঋণ অনাদায়ী থেকে যাবে।
স্মারকলিপিতে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন ২০১৯ এ বর্ণিত জিগজাগ ইটভাটার ছাড়পত্র ও লাইসেন্সপ্রাপ্তির জটিলতা নিরসনের দাবি জানানো হয়। এছাড়াও ইটভাটাগুলোতে মোবাইল কোর্টের অভিযান বন্ধ, জরিমানা ও ভাঙচুর বন্ধের দাবি উত্থাপন করা হয়।
বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তাদের দাবি না মানলে ঈদের পর ঢাকায় মহাসমাবেশ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পদযাত্রার আয়োজন করা হবে।
What's Your Reaction?






