নোয়াখালীতে চুরির দ্বন্দ্বে অ্যাম্বুলেন্স চালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা  

রিপন মজুমদার,নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
Oct 5, 2024 - 22:43
 0  8
নোয়াখালীতে চুরির দ্বন্দ্বে অ্যাম্বুলেন্স চালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা  

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার চারদিন পর এক অ্যাম্বুলেন্স চালক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হৃদয়কে নিহতের স্বজনেরা বেধড়ক পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।

নিহত মো.জামাল হোসেন (৩৩) নোয়াখালীর পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের মধুসূদনপুর গ্রামের ফরিদ হাজী বাড়ির রফিক উল্যার ছেলে।

গতশুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে, গত মঙ্গলবার  ১ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে জেলার সদর উপজেলার হাসপাতাল রোডের ট্রাস্ট ওয়ান হাসপাতালের সামনে এই ঘটনা ঘটে।  

পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন অভিযুক্ত মোহাম্মদ হৃদয় (২২) নোয়াখালী পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের মধুসূদনপুর গ্রামের গৌরি মেকারের বাড়ির রায়হানের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কিছুদিন আগে হৃদয় একজন অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারের বিকাশ অ্যাপ থেকে টাকা  চুরি করে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে বসে মাইজদী শহরের বালুর মাঠে আপোশ-মীমাংসা হয়। ওই সময় জামালের সাথে হৃদয়ের বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে জামাল হৃদয়কে থাপ্পড় দেয়। এই বিরোধের জের ধরে হৃদয় জামালকে গত ১ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে উপজেলার হাসপাতাল রোডের ট্রাস্ট ওয়ান হাসপাতালের সামনে ছুরিকাঘাত করে গুরুত্বর আহত করে। তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন জামালকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে ডাক্তারের পরামর্শে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ আরও জানায়, জামালের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা হৃদয়কে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ হৃদয়কে চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। হৃদয়ের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

সুধারম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কৃঞ্চ মোহন বলেন, ভিকটিম ও অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি পাশাপাশি।  পূর্ব শক্রতার জের ধরে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সোহেলী আক্তার বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এলাকাবাসী গণপিটুনি দিয়ে হৃদয়কে মারধর করে গুরুত্বর আহত অবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করে। তিনি বর্তমানে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow