নোয়াখালীতে তিন উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতারা বিজয়ী
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে নোয়াখালীর তিনটি উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি ফলাফলে জয়ী ব্যক্তিদের তিনজনই আওয়ামী লীগের নেতা।
মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে বেসরকারিভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন আরা। এর আগে, সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এসব উপজেলায় ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণ করা হয়।
সেনবাগ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহ্বাজ মোরশেদ আলমের ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাইফুল আলম দিপু আনারস প্রতীকে ৩২ হাজার ১৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেনবাগ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মো.আবু জাফর টিপু পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৩৪ ভোট।
চাটখিল উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির দোয়াত কলম প্রতীকে ৬৫ হাজার ৬৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জেড এম আজাদ খান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ২৬৭ ভোট।
অপরদিকে, সোনাইমুড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাবুল আনারস প্রতীকে ৭৭ হাজার ১৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো.মোমিনুল ইসলাম হেলিকপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৭৮১ ভোট।
উল্লেখ্য, কেন্দ্র থেকে সকল এজেন্টকে বের করে দেওয়া, ব্যালটে প্রকাশ্যে সিলমারা, ভুয়া এজেন্ট সাজিয়ে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেন চাটখিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী জেড এম আজাদ খান। পরে দুপুর দেড়টার দিকে আজাদ খানের বাড়ির সামনের চাটখিল টু সোনাইমুড়ী সড়কে জাল ভোট ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগে তার সমর্থকরা সড়ক অবরোধ করে জুতা মিছিল করে। ওই সময় ইসি ও প্রতীদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবিরকে ব্যঙ্গ করে নানা স্লোগান দিতে থাকে তারা। ওই সময় ৩০ মিনিট সড়ক অবরোধ করে রাখে ভোটাররা। একই সাথে তারা পুনর্নির্বাচন দাবি করে। সোনাইমুড়ীতে জাল ভোটে সহযোগিতার দায়ে ৬ নির্বাচন কর্মকর্তা আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং জাল ভোট দেওয়ার দায়ে ২জনকে ৬ মাসের কারাদন্ড দেয়।
What's Your Reaction?