নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের কুতুবপুর ইউনিয়নে সম্পত্তি নিয়ে বিরাধের জের ধরে এক সংখ্যালঘু পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে স্থানীয় কতিপয় জনপ্রতিনিধির যোগসাজশে অসহায় পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সাজানো হামলা,ভাংচুর ও চাঁদা দাবির অভিযোগ তোলা হয়।
ভুক্তভোগী কাঞ্চন ভৌমিক ও তার পরিবার গত শুক্রবার ভূমিদস্যু, কিশোর গ্যাং থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাঁচার আকুতি চেয়ে মাইজদী বাজারে সংবাদ সম্মেলনে করেছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, নন্দ দুলাল ভৌমিকের সাথে বাড়ির ভিতর কুতুবপুর মৌজার ৩২৪ হালে ৩০৭ জিলা জরিপী ২৫১/১, এম,আর, আর ২৫২/১ খতিয়ানের সাবেক ১১৮৬ হাল দাগ ১১৬৮ খতিয়ানের ২ আনা ১১৩ শতক সম্পত্তির খতিয়ানের অন্দরে ২৪ শতাংশ বাগান, যাহার চূড়ান্ত খতিয়ান ৯৫৫ হয়। উক্ত সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলমান রয়েছে। এ বিরোধপূর্ণ সম্পত্তিতে নন্দ দুলাল ভৌমিক গং আদালতের নির্দেশ অমান্য করে আমাদের মালিকানা জায়গা দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করছে। এমনকি সম্পত্তি ভোগ-দখল করতে দিবেনা বলে হুমকি দিচ্ছে। এছাড়াও অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ. মারমুখী আচরণ করে, বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখিয়ে জীবন নাশের হুমকি দেয়। পুলিশের সামনে বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমাকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলার প্রকাশ্যে হুমকি দেয়। এ ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। যাহার জিডি নং-৮৮০।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, স্থানীয় মেম্বারসহ অনেকেই এই সন্ত্রাসীদের আশ্রয় প্রশয় দিচ্ছে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে তারা এলাকায় যেতে পারছেন না। নন্দ দুলাল আদালতের আদেশ অমান্য করে নালিশী ভূমিতে ভবন নির্মাণ করছে। কয়েকটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মনগড়া তথ্য দিয়ে মিথ্যাচার করছে। এ ধরনের হয়রানির আমরা তীব্র নিন্দাও প্রতিবাদ জানাই।
অভিযোগের বিয়য়ে জানতে চাইলে নন্দ দুলাল অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, আমরা একই বাড়ির লোক। তাদের সাথে একটি জায়গা নিয়ে আমাদের বিরোধ চলছে। তবে হত্যার হুমকির অভিযোগ সঠিক নয়।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সম্পত্তি নিয়ে দুই পক্ষের দীর্ঘ দিনের বিরোধ এটি। এ নিয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল। তবে কোন পক্ষ করেছিল এটি আমার সঠিক জানা নেই।