পিরোজপুর জেলা কৃষক লীগের সভাপতি চাঁন মিয়া গ্রেফতার

পিরোজপুর জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও দুর্গাপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. চাঁন মিয়া মাঝিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে সদর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম জানান, ২০১৮ সালের একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় দায়ের হওয়া মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলাও রয়েছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ এপ্রিল পিরোজপুর জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম কলিম বাদী হয়ে চাঁন মিয়া মাঝিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা পরিকল্পনা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট, গুলিবর্ষণ, বোমা বিস্ফোরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আসামিদের মধ্যে চাঁন মিয়া মাঝির ছেলে মুরাদ হোসেন মাঝি, ভাগ্নে ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার, হারুন অর রশিদ বাদশা, মো. মাসুদ মাঝি, রশিদ শাহরিয়ার মাঝি, লোকমান হোসেন হাওলাদার, মহিউদ্দিন হাওলাদার ঝন্টু, সামশুদ্দিন কালু এবং মো. সাখাওয়াত হোসেন মল্লিকসহ আরও অজ্ঞাত ২৫–৩০ জনের নাম রয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে শামীম বিন সাঈদীর পক্ষে প্রচারে আসা জহিরুল ইসলাম কলিমের ওপর ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় চাঁন মিয়া মাঝির নেতৃত্বে অস্ত্রধারী একদল লোক হামলা চালায়। তারা কলিমের গাড়ি ভাঙচুর করে, নির্বাচনী প্রচারসামগ্রী ছিনিয়ে নেয় এবং গুলি ছোড়ে।
এর পরদিন ২৯ ডিসেম্বর বিকেলে আরও ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগে বলা হয়, চাঁন মিয়ার নেতৃত্বে প্রায় ৫০–৬০ জন সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা ও দেশীয় অস্ত্রসহ কলিমের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা ২০–২৫ রাউন্ড গুলি ও ৮–১০টি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে। ঘরে ঢুকে ভাঙচুর, লুটপাট এবং ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় কলিমের পরিবারের সদস্যরা প্রাণভয়ে ঢাকা পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।
What's Your Reaction?






