পিরোজপুরে সাবেক চেয়ারম্যান দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

পিরোজপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সালমা রহমান হ্যাপি এবং সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান খালেকের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৯ মার্চ) জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের পিরোজপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান বাদী হয়ে এ মামলা দুটি দায়ের করেন। মামলার নম্বর যথাক্রমে ৩/২০২৫ ও ৪/২০২৫। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম।
মামলার নথির তথ্য অনুযায়ী, সালমা রহমান হ্যাপি পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন মৌজায় ২৮.৬৫ শতাংশ জমি, ঢাকার পল্লবীতে ৫ শতাংশ জমিসহ বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার ও ঠিকাদারি ব্যবসায় মোট ১৬ কোটি ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৫৯১ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। তবে তার গ্রহণযোগ্য আয়ের পরিমাণ ১৪ কোটি ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ৩০২ টাকা। এতে দেখা যাচ্ছে, তিনি ১ কোটি ৮০ লাখ ১২ হাজার ২৮৯ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত সম্পদের মালিক, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
তার স্বামী মজিবুর রহমান খালেক জেলার বিভিন্ন মৌজায় ১৫.৪৫ একর জমি, ইটভাটা এবং এ.এগ্রো ফুড কোম্পানির নামে ভবনসহ ৬ কোটি ৪৯ লাখ ৬৭ হাজার ২৯৬ টাকার সম্পদের মালিকানা লাভ করেন। তবে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ ২ কোটি ৬২ লাখ ৮৭ হাজার ৩৬২ টাকা। এতে ৩ কোটি ৮৬ লাখ ৭৯ হাজার ৯৩৪ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায়, যা আইনত দণ্ডনীয়।
দুদকের পিরোজপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম জানান, "সালমা রহমান হ্যাপি ও মো. মজিবুর রহমান খালেক দম্পতির বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।"
সালমা রহমান হ্যাপি বর্তমানে পিরোজপুর জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। অন্যদিকে, তার স্বামী মজিবুর রহমান খালেক জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সংসদ সদস্য এ.কে.এম.এ আউয়ালের ছোট ভাই।
তবে মামলা দায়েরের পর থেকে তারা আত্মগোপনে থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
What's Your Reaction?






