পিরোজপুরের নাজিরপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযান

পিরোজপুরের নাজিরপুরে উপজেলা এলজিইডি (স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়) অফিসে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি অভিযান পরিচালনা করেছে। এই অভিযান সাবেক উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন মিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পে দূর্ণীতি ও অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে পরিচালিত হয়।
দুদক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২ টায় পিরোজপুর দুদক সম্মিলিত কার্যালয়ের একটি টিম নাজিরপুরে এলজিইডি অফিসে প্রবেশ করে এবং ২ টার দিকে সেখান থেকে বের হয়। অভিযানে পিরোজপুর দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন নেতৃত্ব দেন। এসময় এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী এবি এম মাহমুদুল হাসান, সাবেক প্রকৌশলী জাকির হোসেন মিয়া, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল গাফফার ও কম্পিউটার অপারেটর আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানে দুদক প্রকৌশলী জাকির হোসেন মিয়া ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের প্রমাণ পায়। বিশেষ করে, সাবেক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে এলজিইডি অফিস ও বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। এছাড়া, অফিসের কম্পিউটার অপারেটর আব্দুস সালাম ২৩ বছর ধরে এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল গাফফার ৮ বছর একই কর্মস্থলে চাকরি করছেন, যা দপ্তরের বিধি-বহির্ভূত বলে জানায় দুদক।
এছাড়া, আব্দুল গাফফারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজ না করিয়ে বিল দিয়ে দেন এক ঠিকাদারকে। এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির মালিক নাজিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল কান্তি বিশ্বাস। তদন্তকারী দল জানায়, ঠিকাদার গত আগস্টে আলেমের পতনের পর গোপন সূত্রে জানা যায় যে, বাড়তি বিলের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর গাফফার নিজ অর্থে কাজ চালিয়ে যেতে উদ্যোগী হন।
অভিযান শেষে পিরোজপুর দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, সাবেক প্রকৌশলী জাকির হোসেন মিয়ার বিরুদ্ধে দূর্ণীতি ও অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তিনি বর্তমানে সাসপেন্ড আছেন এবং তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
What's Your Reaction?






