পুঠিয়ার রাজবাড়ী ও জাদুঘরে উপচে পড়া ভিড়

ঈদ উপলক্ষে দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দর্শনার্থীরা পুঠিয়ার রাজবাড়িতে নিরাপদে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পেয়ে আনন্দিত। রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী এ স্থানটি প্রতিদিনই বিপুল সংখ্যক পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠছে।
পুঠিয়া রাজবাড়ী ও জাদুঘর পরিদর্শনের জন্য বিভিন্ন শ্রেণির দর্শনার্থীদের জন্য পৃথক টিকিটের ব্যবস্থা রয়েছে। বিদেশি পর্যটকদের জন্য টিকিটের মূল্য নির্ধারিত হয়েছে ৪০০ টাকা, সার্কভুক্ত দেশের নাগরিকদের জন্য ২০০ টাকা, সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য ৩০ টাকা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ১০ টাকা।
রাজবাড়ির পাশাপাশি পুঠিয়ার রাজাদের স্মৃতি বিজড়িত বড় গোবিন্দ মন্দির, ছোট গোবিন্দ মন্দির, বড় শিব মন্দির, ছোট শিব মন্দির, বড় আহ্নিক মন্দির, ছোট আহ্নিক মন্দির, জগদ্ধাত্রী মন্দির, দোল মন্দির, রথ মন্দির, গোপাল মন্দির, সালামের মঠ, খিতিশচন্দ্রের মঠ, কেষ্ট খেপার মঠ, হাওয়া খানা, রানিঘাটসহ মোট ১৫টি প্রাচীন স্থাপনা দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
সকাল দশটা থেকেই দর্শনার্থীদের ঢল নামে রাজবাড়ী ও জাদুঘরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখার জন্য। অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থানের তুলনায় তুলনামূলকভাবে কম খরচে পুঠিয়ার রাজবাড়ির সব স্থানই সাধারণ দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকায় পর্যটকদের ভিড় আরও বেড়েছে।
একজন স্থানীয় ব্যবসায়ী জানান, "রাজবাড়ী ও জাদুঘরে মানুষের উপস্থিতি অনেক বেশি। আশা করা যায়, আগামীকাল দর্শনার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে, যা আমাদের ব্যবসার জন্যও লাভজনক হবে।"
একজন পর্যটক বলেন, "আমি চট্টগ্রামে চাকরি করি। ঈদের ছুটিতে সপরিবারে পুঠিয়া রাজবাড়ী ও জাদুঘর ঘুরতে এসেছি। এখানে এসে আমরা প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখতে পারছি, যা আমাদের ছোটদের ইতিহাস সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিচ্ছে। সেই সঙ্গে ঈদের আনন্দটাও সবাই মিলে উপভোগ করতে পারছি।"
What's Your Reaction?






