পুরান ঢাকার ফুলবাড়িয়ায় সমিতির নামে ফুটপাতে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ সেলিম গংদের বিরুদ্ধে
পুরান ঢাকার গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে প্রতিদিন চাঁদা আদায় করছে চিহ্নিত চাঁদাবাজ সেলিম ও তার বাহিনী। আর এই এলাকার ফুটপাত চলে গেছে জুতা, ফল ও ছেঁড়া টাকা ব্যবসায়ীদের দখলে।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গুলিস্তান ফুলবাড়িয়ার সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেট সংলগ্ন দোকান থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন হারে চাঁদা তুলছে। জানা যায় জুতার দোকান প্রতি ২শ টাকা থেকে ৩শ টাকা, ফলের দোকান প্রতি ৩শ থেকে ৪শত টাকা ও অন্যান্য দোকান থেকে ১০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা চাঁদা আদায় করছে সেলিম ও তার বাহিনী। নবাবপুর মোড় থেকে রথখোলা ইংলিশ রোড নর্থ সাউথ রোড, সিদ্দিক বাজার ও ফুলবাড়িয়া এলাকা পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক দোকান রয়েছে হকারদের। তার মধ্যে অধিকাংশ দোকান বিক্রী করে ফেলেছে হকারদের কাছে এই চাঁদাবাজ সেলিম। যার কাছ থেকে যত টাকা নিতে পারে ৫ হাজার ১০ হাজার ২০ হাজার এমনও দোকান আছে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছে এক হকার সে একজন জুতা ব্যবসায়ী, তার নাম জয়নাল হাজরি। এই রাস্তা ও ফুটপাত যেন চাঁদাবাজ সেলিমের বাপ- দাদার সম্পত্তিতে পরিনত হয়েছে।
জানাযায় ২০০১ সালে সেলিম ফুলবাড়িয়ায় ফুটপাতে মলম বিক্রি করতো। বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তার ভাগ্যের চাকা খুলে যায়। চাঁদাবাজ সেলিম স্থানীয় বিএনপির এক নেতার আর্শীবাদে এই এলাকার ফুটপাতের দায়িত্ব পান, সে থেকে আর পেছনে ফিরে যেতে হয়নি, এই ২৪ বছর যাবৎ ফুটপাতে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে এখন সে বিপুল সম্পদের মালিক।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে সেলিমের ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন দিলে তিনি জানান,তিনি কোনো চাঁদাবাজি করেন না। তিনি মাসিক বেতনে সমিতির টাকা তুলেন মাত্র।
What's Your Reaction?