পেশাদার তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে  র‍্যাব-১০, সিপিসি-৩

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি:
Jun 28, 2024 - 14:33
 0  9
পেশাদার তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে  র‍্যাব-১০, সিপিসি-৩
পেশাদার তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে  র‍্যাব-১০, সিপিসি-৩
পেশাদার তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩।
দীর্ঘ ৭ বছর ধরে পলাতক ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আন্তঃজেলা মাদক সম্রাট নাজমুল ইসলাম কাজলকে ১৮৫০ পিস ইয়াবাসহ মোট তিনজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীকে রাজবাড়ী সদর থানা হতে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় 
বৃহস্পতিবার দুপুরে র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, আন্তঃজেলা মাদক সম্রাট নাজমুল ইসলাম কাজল (৩৯) তার অপরাপর আসামীদের সহযোগিতায় মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয়ের জন্য রাজবাড়ী জেলার সদর থানাধীন আহলাদীপুর বাজার মাজার গেইট এর সামনে পাকা রাস্তার উপর অবস্থান করছে। এরপর উক্ত আভিযানিক দল  দুপুর ২:১০ মিনিটে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার মামলা নং- ১৯, তারিখ
২৪/০৮/২০১৭ইং, ধারা- ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এর ১৯(১) টেবিল ৯(খ)/২৫, মামলায় পনের বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০,০০০/- টাকা অর্থদন্ড প্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত দীর্ঘ সাত বছর ধরে পলাতক আসামী নাজমুল ইসলাম কাজল (৩৯), পিতা- মৃত নুরুল ইসলাম  ওরফে টিয়ালা, সাং-জয়নাবাদ মন্ডল পাড়া, থানা- কুমারখালি, জেলা-কুষ্টিয়া 
সহ তার অপর দুইজন সহযোগী মাদক ব্যবসায়ী ২। তাওহিদুল ইসলাম রাফিদ (২১), পিতা- মোহাম্মদ মুরাদ, সাং-ছেঁউড়িয়া, মন্ডল পাড়া, থানা- কুমারখালী,
জেলা-কুষ্টিয়া, ৩। মোছাঃ বর্ষা খাতুন (১৯), পিতা- মোঃ আব্দুর সাত্তার, সাং-ছেঁউড়িয়া মন্ডল পাড়া,থানা- কুমারখালী, জেলা-কুষ্টিয়া’কে এক হাজার আটশত পঞ্চাশ
 পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের নিকট থেকে ১টি মোবাইল ফোন ও নগদ- এক হাজার চল্লিশ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত আসামী নাজমুল ইসলাম কাজল একজন আন্তঃজেলা মাদক কারবারি ও অপরাপর আসামীরা চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তারা দেশের সীমান্তবর্তী জেলার বিভিন্ন বর্ডার এলাকা থেকে চোরাই পথে মাদকন্ত্রব্য এনে ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী জেলা সহ আশপাশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় বিক্রয় করত। আসামী কাজলের নামে কুষ্টিয়া জেলার সদর ও রাজবাড়ী জেলার পাংশা ও গোয়ালন্দঘাট থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। ধৃত আসামী কাজলের নামে মাদক মামলায় একটি ১৫ বছরের সাজা ওয়ারেন্ট রয়েছে। এছাড়াও আসামী কাজলের নামে একাধিক ওয়ারেন্ট রয়েছে। বার বার গ্রেফতার হবার পরও সে জামিনে মুক্ত হয়ে বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে মাদকব্যাবসা অব্যাহত রেখেছিল।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow