ফরিদপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত
ফরিদপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা একটায় ফরিদপুর পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালী থানাধীন গোয়ালচামট ওয়েলেসপাড়া গ্যারেজ থেকে কৌশলে চুরি যাওয়া প্রাইভেটকার উদ্ধার ও আসামি গ্রেপ্তার সংক্রান্তে উক্ত প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সালাহউদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, কোতোয়ালী থানার কমকর্তা মোহাম্মদ আসাদউজ্জামান। এ সময় ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এতে সাংবাদিকদের জানানো হয় গত ২৫/০৯/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ১০ টা হতে বেলা.১ টার মধ্যে গোয়ালচামট ওয়ারলেমপাড়া গ্যারেজ হতে জনৈক সাইফুল ইসলাম এর Toyota Corolla 100 মডেলের শ্যাওলা রঙের পাড়িটি অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে এ সংক্রান্তে তিনি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় একটি চুরি মামলা রুজু হলে পুলিশ সুপারের দিক- নির্দেশনায় আনা পুলিশের একটি চৌকস দল তদন্তকার্যক্রম শুধু করে। গুপ্তচর নিয়োগ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত আসামী সনাক্ত করে, আসামী গ্রেফতার ও মালামাল উদ্ধারের অন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে।
গত ০৬/১০/২০২৪ তারিখ গুপ্তচর নিয়োগ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামী শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা থানা এলাকায় অবস্থান করছে জেনে তথায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। আসামী মোঃ মেয়েদী হাসান-(২৬) পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে ইতোমধ্যে শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস বাস যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করে। পুলিশ জানতে পেরে দ্রুততার সহিত বাসের পিছু নেয় এবং পথিমধ্যে জাজিরা থানাধীন নাওডোবা এলাকায় বাসটি থামিয়ে আসামীকে রাত ১১.৩০ মিনিটের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি
মোঃ মেহেদী হাসান (২৬) নিজে প্রাইভেটকারটি চুরি করার কথা স্বীকার করে এবং তার দেয়া তথ্যমতে ০৭/১০/২০১৪ তারিখ সকাল ০৯.৩৫ মিনিটে গ্রীন প্যালেস, বাড়ী নং- ১১৩, ব্লক-সি, ইন্টার্ণ হাউজিং, রূপনগর থানা, ডিএমপি, ঢাকায় অভিযান করে চুরি হওয়া প্রাইভেটকারটি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে। মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে।
What's Your Reaction?