ফরিদপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত
ফরিদপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে কোতোয়ালি থানার ক্লু-লেস অজ্ঞাতনামা হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটনসহ ঘটনায় জড়িত ২ জন আসামী গ্রেফতার ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত পাটের রশি চোরাইকৃত রিক্সা ও রিক্সার ব্যাটারী উদ্ধার সংক্রান্তে এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার বেলা ১১-৪৫ মিনিটে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে উক্ত প্রেস ব্রিফিং এ নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন তথ্য প্রদান করেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল জলিল। এ সময় জেলা পুলিশের কর্মকর্তা বৃন্দ কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাসানুজ্জামান সহ ফরিদপুরের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এতে সাংবাদিকদের জানানো হয়
এ মামলায় ভুক্তভোগী হোসাইন বেপারী (১৩) একজন রিক্সা চালক।
তার পিতার নাম মৃত খোকা বেপারী। সাং-পশ্চিম চর টেপা খোলা (গোলাপ মাতুবারের ডাঙ্গী)
থানা কোতয়ালী, জেলা-ফরিদপুর একজন রিক্সা চালক। প্রতিদিনের মত গত ২ জানুয়ারি সকাল ০
৭ টায় রিক্সা নিয়ে বের হয়। কিন্তু রাত্র ৮ টার মধ্যে রিক্সা জমা দেওয়ার কথা থাকলে উক্ত হোসাইন বেপারী
ভাড়ায় চালিত রিক্সা গ্যারেজে জমা না দেওয়ায় গ্যারেজ মালিক তার পরিবারকে জানালে তাহারা সকলে মিলে হোসাইন বেপারী কে খুজতে থাকে। খোজাখুজির এব পর্যায়ে গত ৩ জানুয়ারি ০৮.৩০ মিনিটে ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন ভাটি লক্ষীপুর তালতলা দারুল ইহসান মহিলা মাদ্রাসা দক্ষিণ পানে মেহগনী গাছ সহ অন্যান্য গাছের বাগানে তার লাশ খুজে পাওয়া যায়। ধারণা করা হয় গত ২ জানুয়ারি রাত অনুমান সাতটা হতে হইতে ৩ জানুয়ারি তারিখ সকাল ৮.৩০ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় অজ্ঞাতনামা
আসামিরা পাটের রশি দিয়া পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার রিক্সা চুরি করে নিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ডিউটি অফিসারকে জানালে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরন করে।
পরবর্তীতে বাদীনি চম্পা আক্তার (২৯), পিতা- মৃত
খোকা বেপারী, সাং-পশ্চিম চর টেপাখোলা (গোলাপ মাতুব্বরের ডাঙ্গী), থানা-কোতয়ালী জেলা-ফরিদপুর
গত ইং-৪ জানুয়ারি : কোতয়ালী থানায় হাজির হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে এজাহার দাখিল করলে ফরিদপুর জেলা কোতয়ালী থানার মামলা নম্বর- ৭ ধারা-৩০২/৩৭৯/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়।
মামলার তদন্তভার এসআই
(নি: )সনাতন কুমার মন্ডল এর উপর অর্পন করা হয়।
এই ঘটনায় পুলিশ সুপার এর দিক-নির্দেশনায় কোতয়ালী থানা পুলিশের একটি চৌকস দল তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। গুপ্তচর নিয়োগ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামী সনাক্ত ও গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে গত ৩ জানুয়ারি তারিখ ৪.০৫ মিনিটের সময় ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন সরকারী কমার্স কলেজের পিছন হইতে চুরি হওয়া ব্যাটারী বিহীন রিক্সা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।
এরপর গত ১৪ জানুয়ারি তারিখ রাত্র অনুমান ৯.৩০ ঘটনায় জাড়িত সন্দেহে আসামী
১। তুফান চৌধুরী (২১), পিতা- তুযার চৌধুরী, সাং- ভাটি লক্ষীপুর (পৌরসভা), থানা-কোতয়ালী, জেলা ফরিদপুরকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে নিবিড় ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে.। এব তার সহযোগী অপর আসামীর নাম ঠিকানা প্রকাশ সহ হত্যাকান্ডের লোমহর্ষক ঘটনা বর্ণনা করে।
ধৃত আসামী তুফান চৌধুরী (২১) জানায় রিক্সা ব্যাটারী চুরি করার জন্য ডিসিস্ট হোসাইন বেপারী (১৩) কে ঘন্টায় ২৫০/= টাকা চুক্তিতে ডাড়া করে ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি কে সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ ,৩০ মিনিটের সময় ভাটি লক্ষীপুর তালতলা দারুল ইহসান মহিলা মাদ্রাসার দক্ষিণ পাশে মেহগনী গাছসহ অন্যান্য গাছের বাগানে উক্ত হোসাইন বেপারী কে গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করে লাশ উক্ত স্থানে ফেলে রেখে আসামীরা রিক্সা নিয়ে সরকারী কমার্স কলেজে পিছনে গিয়ে উক্ত রিক্সা হতে ব্যাটারী খুলে রিক্সাটি ফেলে রেখে আসামীরা আল-আমীন নামক একজন ভাংগারী দোকানদারের নিকট ৬,৫০০/ টাকায় বিক্রি করে। এরপর আটক আসামীর দেওয়া তথ্য মতে মোঃ আল-আমীন (৩২), পিং-মৃত: নুরু হাওলাদার, সাং-লক্ষীপুর, থানা-কোতয়ালী জেলা-ফরিদপুর এর দখল হতে চুরি হওয়া উক্ত রিক্সার ৪ টি ব্যাটারী উদ্ধার করে জব্দ করা হয় এবং আল-আমীনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
অন্যান্য আসামী গ্রেফতার অভিযানসহ মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
What's Your Reaction?