ফরিদপুরে সাড়ে তিন বছর পর হত্যা মামলা দায়ের, চেয়ারম্যানকে আসামী করার প্রতিবাদ
ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ইউনিয়নের আইজুদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ মো. হিরু শেখের মৃত্যুর প্রায় তিন বছর ০৯ মাস পর আদালতে দায়ের করা মামলায় ডিক্রিরচর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মেহেদী হাসান মিন্টুকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামী করা হয়েছে দাবী করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে ফরিদপুর নদী বন্দর এলাকায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন থেকে এ মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক অভিহিত করে প্রত্যাহারের দাবী জানানো হয়। তারা দাবী করেন, বর্তমান চেয়ারম্যানের জনপ্রিয়তায় ইর্ষন্বিত হয়ে প্রতিপক্ষের ইন্দনে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে, এতে ওই চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদে ঠিকমতো সময় দিতে না পারায় কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে, ভোগান্তিতে পড়ছে ইউনিয়নবাসী। তাই এ মামলা থেকে চেয়ারম্যানকে অব্যহতি দেয়ার দাবী জানান মানববন্ধনকারীরা। এসময় তারা আরো অভিযোগ করেন, স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি যারা বালু চুরির সাথে জড়িত, তাদের অনৈতিক কাজে বাঁধা দেয়ায় মামলার বাদীকে ইন্ধন দিয়ে মামলা করানো হয়েছে। এমনকি একাধিক ফেক আইডি খুলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারও চালানো হচ্ছে হলে দাবী করেন তারা। বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে কয়েকশত নারী পুরুষ অংশ নেন।
উল্লেখ্য, ফরিদপুরের সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ইউনিয়নের আইজুদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের মো. হিরু শেখ, ২০২০ সালের ০৯ নভেন্বর মৃত্যু বরন করেন। এর প্রায় তিন বছর ০৯ মাস পর গত ৩১ আগষ্ট ফরিদপুরের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা দায়ের করেন তার পুত্র শেখ রুমন। ওই মামলায় ডিক্রিরচর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মেহেদী হাসান মিন্টু ও তার আরো চার ভাইসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ১০ থেকে ১২ জনকে আসামী করা হয়।
What's Your Reaction?