ফরিদপুরে স্কুল ছাত্রকে জ্যান্ত পুঁতে ফেলে হত্যার চেষ্টা প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
ফরিদপুরে এক স্কুল ছাত্রকে কবর খুঁড়ে জ্যান্ত পুঁতে ফেলে হত্যার চেষ্টা প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার(৯ডিসেম্বর) বিকেল তিনটায় শহরের আলীপুরে অবস্থিত একটি সংবাদপত্র কার্যালয়ে জিহাদ নামে এক স্কুল ছাত্রকে কবর খুঁড়ে জ্যান্ত পুঁতে ফেলে হত্যার চেষ্টা প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ছেলেটির পিতা ফরিদপুর সদরের বড় মাধবপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মোস্তাক মাতুব্বর তার ছেলে জিহাদকে রাতের আঁধারে ধরে নিয়ে বেদম মারপিটের পর মাটি খুড়ে জ্যান্ত পুতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেন।
তিনি আরো জানান গত শনিবার রাতে তার ১৩ বছর বয়সী স্কুলপড়ুয়া ছেলে জিহাদ মাতুব্বর ওয়াজ শুনতে যাওয়ার সময় এলাকার বখাটে কতিপয় কিশোর তাকে ধরে বেদম মারপিটের পরে একটি কবরস্থানে নিয়ে কবর খুড়ে জ্যান্ত পুতে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় তারা জিহাদকে তার বাবার নিকট থেকে পাঁচলাখ টাকাও নিয়ে আসতে বলে। রাতেই ছেলেটিকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রচন্ড ভয় এবং আতঙ্কে ছেলেটি ট্রমার মধ্যে আছে বলে জানা গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী জিহাদ জানান, ক’দিন আগে তার চাচাতো ভাইদের বাড়ির পেছনে নদীর পাড়ে জড়ো হয়ে শোরগোল করতে থাকা একদল বখাটের নিকট সেখানে কারা বলে উচু স্বরে জানতে চেয়েছিলো। এই অপরাধে ওইদিন সন্ধ্যাবেলায় প্রথমে তাকে একদফায় মারপিট করা হয়। এরপর শনিবার রাতে বাবার নিকট থেকে হালিম খাওয়ার জন্য টাকা নিয়ে ওয়াজের মাঠে যাচ্ছিলো সে। তখন ওই যুবকেরা তাকে দোকান থেকে সিগারেট কিনে আনতে বলে আর তারপর তার সিগারেট কেনার ভিডিও করে। তখন তার বাবাকে সিগারেট কেনার ভিডিও দেখিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে জিম্মি করে নেয়।
এ ঘটনায় তার বাবা মোস্তাক মাতুব্বর বাদি হয়ে রোববার রাতে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় সিফাত (২৪), মাসুম (২৩), মারুফ (২০), আরাফাত (২০), সজল (২২), সাকিল (১৯) সহ আরো চার পাঁচজনকে আসামী করা হয়েছে। তারা জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন।
What's Your Reaction?