ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মন্দিরসহ পাঁচটি স্থানে ভয়াবহ অগ্নিসংযোগ

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার ধুলজুড়ি গ্রামে সোমবার গভীর রাতে সঙ্ঘবদ্ধ দুর্বৃত্তরা একযোগে পাঁচটি স্থানে ভয়াবহ আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। এতে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন, থানা ও সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রাথমিকভাবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, দুর্বৃত্তরা একটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গা মন্দিরে আগুন দেয়, যার ফলে মন্দিরের কালি ও শিব প্রতিমা বেশিরভাগ পুড়ে গেছে। একযোগে আগুন দেওয়া হয় মন্দিরের পাশের সুজন সরকারের গোয়ালঘর, দেবাশীষ রায়ের করাতকল, জাহিদ শেখের রান্নাঘর ও আকবার মোল্যার রান্নাঘরে। এ সময় স্থানীয়রা দ্রুত আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এবং পরে আলফাডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ধুলজুড়ি গ্রামবাসী মনে করছেন, এটি একটি পরিকল্পিত আক্রমণ, যেখানে একযোগে একাধিক স্থানে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়েছে।
স্থানীয় দুর্গা মন্দিরের সভাপতি দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, "রাতের আঁধারে কে বা কারা মন্দিরে আগুন দিয়ে প্রতিমা পুড়িয়ে দিয়েছে। আমরা তা দেখতে পেয়ে সবাইকে জানাই।"
অপর ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি সুজন সরকার বলেন, "আমি ২০ হাজার টাকার বিচালি কিনেছিলাম, কিন্তু আগুনে সব পুড়ে গেছে। আমার বসতঘর অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে।"
এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুন-অর রশীদ জানান, "ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে।"
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল ইকবাল জানান, ঘটনাটি সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার অংশ হতে পারে না, কারণ একই সময়ে মুসলিম ধর্মাবলম্বী কয়েকটি বাড়িতেও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এটি একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের কাজ হতে পারে। প্রশাসন এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে।
What's Your Reaction?






