"ফিলিস্তিন মুক্তি পাক, সন্ত্রাসী ইসরায়েল নিপাত যাক" — পিরোজপুরে জামায়াতের বিক্ষোভ

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে পিরোজপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জেলা জামায়াতে ইসলামী।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে পিরোজপুর শহরের বড় মসজিদ মোড় থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মহিলা কলেজ মোড়ে গিয়ে শেষ হয় বিক্ষোভ মিছিলটি। এতে জেলা জামায়াতের নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশ নেন।
মিছিল চলাকালে ‘ফিলিস্তিন মুক্তি পাক, সন্ত্রাসী ইসরায়েল নিপাত যাক’—এমন নানা স্লোগানে মুখরিত হয় শহর। অংশগ্রহণকারীদের অনেকের হাতে ছিল ফিলিস্তিনের পতাকা ও প্ল্যাকার্ড, যেখানে গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী বার্তা লেখা ছিল।
পরে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আলহাজ্ব তাফাজ্জল হোসাইন ফরিদ। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে গাজা ও রাফাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিমান হামলা চালিয়ে নিরীহ নারী, শিশু ও মুসলমান ভাই-বোনদের হত্যা করছে। এটি শুধু অমানবিকই নয়, একটি মহাপাপ। বিশ্বের মুসলিম নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানাই—ইসরায়েলকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে যেন তারা এগিয়ে আসে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেভাবে গাজা ও রাফার মাটি ইসরায়েল চূর্ণ করেছে, আমরা মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানাই—তিনি যেন জালিমদের ধ্বংস করেন।’
সমাবেশে জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘মুসলমানদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদ ও গাজার বিভিন্ন এলাকায় অব্যাহত বিমান হামলা চালিয়ে ইসরায়েল মুসলমানদের নির্মূলের ষড়যন্ত্র করছে। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মার্কিন প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে ইসরায়েল যেভাবে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে, তাতে মুসলিম বিশ্ব যদি এখনই জেগে না ওঠে, তবে একের পর এক মুসলিম দেশ তাদের আগ্রাসনের শিকার হবে। জাতিসংঘকেও এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু সমবেদনা জানিয়ে নয়, আমাদের ঈমানি দায়িত্ব হলো—ইসরায়েলি পণ্য বর্জনসহ তাদের সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা।’
What's Your Reaction?






