বরগুনা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ
বরগুনা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজে ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে । এ ব্যাপারে ওই কলেজের শিক্ষকরা বরগুনার জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
বর্তমানে বরগুনা হোমিওপ্যাথ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ছাত্র- ছাত্রীদের পরীক্ষা চলমান। পরীক্ষার হলে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করে পরীক্ষার হলে ছাত্র-ছাত্রীদের বই দেখে লেখার সুযোগ করে দিচ্ছেন।
শিক্ষকরা জানান, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ কলেজের শুরু থেকে শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যসহ কলেজের বিভিন্ন ফান্ড এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থ ব্যাংকে জমা না রেখে এ পর্যন্ত প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আবুল কালাম আজাদ শিক্ষক নিয়োগে শিক্ষক প্রতি ৩-৪ লাখ টাকা করে নিয়েছেন বলে জানান একাধিক শিক্ষকরা।
তারা আরও বলেন, কলেজ প্রতিষ্ঠাকালীন জমি ক্রয় ও উন্নয়নের জন্য সকল শিক্ষক, বিভিন্ন ব্যক্তি এবং সরকার থেকে লাখ লাখ টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে আজ পর্যন্ত ওই টাকার সঠিক হিসাব শিক্ষকদের অবহিত করেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের প্রাপ্য ইন্টার্নি ভাতা না দিয়ে ইন্টার্নি সনদে শিক্ষার্থী প্রতি ৫-৬ হাজার টাকা ঘুষ আদায় এবং ইন্টার্নি না করেও ঘুষ দিলে সনদ পাওয়া যায় তার কাছে।
শিক্ষক, অভ্যন্তরীণ অডিট কমিটি, ভর্তি কমিটি থাকলেও তিনি একাই সকল সিদ্ধান্ত নিয়ে হিসাব প্রতিবেদন তৈরী করে শিক্ষকদের তাতে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করেন। ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত থাকা সত্ত্বেও প্রায় ১২ বছর কলেজের ফান্ড হতে শিক্ষকদের বেতন দেয়া হয় না।
এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের নামে দানকৃত ও অনুদানের টাকায় ক্রয়কৃত জমি নিজের নামে দলিল নিয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে শিক্ষকরা প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। বিগত দিনে যারা প্রতিবাদ করেছে তারাই বহিষ্কার বা হয়রানির শিকার হয়েছেন।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ সাক্ষাৎকার দিতে অস্বীকৃতি জানান।তবে তিনি একথা বলেন যে, পরীক্ষার হলে কোন প্রকারের নকল করে না। বই দেখে লেখার কোন সুযোগ নেই।
সরজমিনে পরীক্ষার হলে গিয়ে দেখা যায়, ৪৭ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিচ্ছে প্রত্যেকের কাছেই দেখে দেখে লেখার জন্য একটি করে বই আছে। পরীক্ষার হলের ভিডিও ফুটেজ বরগুনা জেলা প্রশাসক মোঃ শফিউল আলম এর কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বরগুনার জেলা প্রশাসক শফিউল আলম বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন আছে, তদন্তে সত্য প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।পরীক্ষার হলে নকল করার বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
What's Your Reaction?