বর্জ্য সরাসরি ঝিরিতে গিয়ে মিশছে, দূষিত হচ্ছে পানি

লামায় কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় চরম অব্যবস্থাপনা দেখা গেছে, যা পাশের প্রবাহমান ঝিরির পানি দূষিত করছে। প্রতিষ্ঠানটি প্লাস্টিক, ইলেকট্রিক ও এনালগ পদ্ধতিতে রাবার প্রসেসিংয়ের পর সৃষ্ট বর্জ্য যথাযথভাবে নিষ্পত্তি না করায় এ দূষণ ঘটছে।
সম্প্রতি কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে স্থানীয়দের নাম ব্যবহার করে লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের বিরুদ্ধে পানি ও পরিবেশ দূষণের অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে প্রথমে সাংবাদিকরা এর কোনো প্রমাণ পাননি। পরবর্তীতে ২২ মার্চ লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সরেজমিন তদন্ত করেন। তদন্তকালে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের শতাধিক স্টাফ অভিযোগের পক্ষে অবস্থান নিলেও তদন্তদল অভিযোগের কোনো সারবত্তা পাননি।
তদন্তের একপর্যায়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণ করেন এবং সেখানে হতাশাজনক চিত্র দেখতে পান। সরেজমিনে দেখা যায়, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিত্যক্ত প্লাস্টিক ও রাবার প্রসেসিংয়ের বর্জ্য সরাসরি ঝিরিতে গিয়ে মিশছে, ফলে আশপাশের পানি দূষিত হচ্ছে।
সূত্র জানায়, লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড তাদের রাবার প্রসেসিং কার্যক্রমের জন্য পরিবেশবান্ধব ইটিপি (ইকো ট্রিটমেন্ট প্লান্ট) স্থাপনের অনুমতি চেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে আবেদন করেছে। প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার আরিফ হোসেন অভিযোগ করেন, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন ধরে তাদের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রির নার্সারির জায়গার ওপর কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের নজর রয়েছে এবং অতীতেও তারা পাহাড়িদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির কিছু জমি দখল করেছে। তিনি আরও জানান, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন হেলিপোর্ট নির্মাণের পরিকল্পনা করছে, যা বাস্তবায়নে নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
এ বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈন উদ্দিন জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের বিরুদ্ধে পরিবেশ দূষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, পরিবেশ সুরক্ষায় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর একযোগে অভিযান পরিচালনা করছে।
What's Your Reaction?






