বালিয়াকান্দির হোটেলে-রেস্তরায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরী ও ভোক্তাদের খাবার পরিবেশন
বালিয়াকান্দি উপজেলা শহরের বেশির ভাগ হোটেলে -রেস্তোরাঁতে নিয়মিত ভোক্তাদের পরিবেশন করা হয় বাসি ও অস্বাস্থ্যকর খাবার। খাবার তৈরীর স্থানটিতেও অত্যান্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিয়মিত তদারকি না থাকায় সুযোগ নিচ্ছে হোটেল-রেস্তরায় মালিকপক্ষ। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছে ভোক্তারা।
সরকারি তথ্যমতে এ উপজেলাতে ৪৫টি খাবার হোটেল ও ৫৬টি দধি-মিষ্টি দোকান রেয়েছে।
বাংলাদেশ হোটেল রেস্তোরাঁ ২০১৪ বিধিমালা অনুযায়ী বেশিরভাগ হোটেলের নেই বৈধ কাগজপত্র।
দধি- মিষ্টি উৎপাদনে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) লাইসেন্স বাধ্যতামূলক থাকলেও কোনটিরই তা নেই।
বালিয়াকান্দি শহরের একাধিক হোটেলের রান্না ঘরে গিয়ে দেখা যায় দুপুরের খাবার তৈরির জন্য নোংরা অপরিস্কার ও শেতশেতে জাগায় কাটা হচ্ছে তরি-তরকারি। যে কেউ দেখলে বুজতে পারবে এখাবার খেলে সে অসুস্থ হয়ে পরতে পারে ।
এছারা দধি-মিষ্টান্ন জাতীয় খাবের উৎপাদন মেয়াদ প্রদর্শনের নিয়ম থাকলেও মানছে না হোটেল মালিকরা। বাসি দই মিষ্টি নিয়মিত ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করছে তারা।
বিল্লাল মন্ডল নামে এক ক্রেতা আত্মীয় বাড়ির জন্য কিনছেন দই - মিষ্টি, কবে উৎপাদন হয়েছে এই দই - মিষ্টি প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন জানিনা দোকানদার বললো রাতেই বানানো হয়েছে। উৎপাদন মেয়াদ দেয়া থাকলে বোঝা যেত তাই বিশ্বাস করেই কিনতে হচ্ছে।
ওষুধ কোম্পানির আরএক প্রতিনিধি মো রাশেদ বলেন সারাদিন ব্যস্ত থাকি দুপুরে হোটেলে খাই যাচাই-বাছাই করে খাওয়ার সময় নেই ভাল খাবার বলে যা বিক্রি তাই খেতে হয় । স্থানীয় আরেক ভোক্তা ইন্টারনেট ব্যবসায়ী মো কামরুল হাসান বলেন, বালিয়াকান্দি বাজারে প্রায় সব হোটেলেই বাসি খাবার বিক্রি করে এবং হোটেলে যারা খাবার পরিবেশন করে তাদের পোশাক পরিচ্ছদ অনেক নোংরা তারা নিজেরাও পরিচ্ছন্ন থাকে না। অনেক সময় তারা ওজনে কম দেয় এবং বাসি খাবার পরিবেশন করে ভোক্তাদের সাথে নিয়মিত প্রতারনা করে আসছে তারা। ভোক্তাদের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট দাবি জানাই দ্রুত এসকল হোটেল ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।
পচা বাসি খাবার খেলে মানবদেহে স্বাস্থ্যঝুকি কতটা হতে পারে এবিষয়ে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সজল কুমার সোম বলেন, হোটেলের এসব বাসি খাবার মানবদেহের জন্য অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এসব খাবার খেলে ডায়রিয়া,বমি, বদহজম সহ পেটের বিভিন্ন রোগ হতে পারে।
বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভাড়প্রাপ্ত) মো হাসিবুল হাসান বলেন, একাধিক এ ধরণের অভিযোগ পেয়েছি দ্রুতই এদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজবাড়ী জেলা সহকারী পরিচালক কাজী রাকিবুল হাসান বলেন, আমরা কোন পন্যের লাইসেন্স বা সনদপত্র দিতে পারি না। আমরা আমাদের আইন অনুযায়ী যে কার্যক্রম পরিচালনা করার এখতিয়ার রয়েছে সেটা করছি।
আমারা জেলা কার্যালয় থেকে পাঁচটি উপজেলায় ভোক্তাদের স্বার্থে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। গত পরশুদিন বালিয়াকান্দিতে আমরা একটি অভিযান পরিচালনা করেছি।সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ পেলে আমরা তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
What's Your Reaction?