বাসা থেকে ১২ বছরের শিশুকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ,আটক ১

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক ভয়াবহ ঘটনার প্রতিবেদন আসছে। গতকাল মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাতে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভা কিসমত করিমপুর এলাকায় ১২ বছর বয়সী এক শিশুর উপর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত যুবককে স্থানীয় মানুষ আটক করে মারধর করে পুলিশে হস্তান্তর করেছে।

ঘটনাটি ঘটে সাড়ে ৮টার দিকে রাতে। অভিযুক্ত মো. আহসানুল কবির (৩৭), রংপুর জেলার সদর উপজেলার ঘাঘটপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে, ঔষধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। তিনি চৌমুহনী পৌরসভার একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। ভুক্তভোগী শিশুটি তার পাশ্ববর্তী বাড়িতে মা-বাবার সাথে বসবাস করত। ঘটনার সময় শিশুটির বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না।

শিশুটি ঘর ঝাড়ু দেওয়ার সময় কবির তাকে জোরপূর্বক তার রুমে তুলে নিয়ে যান এবং ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এসে ভিকটিমকে উদ্ধার করে এবং আসামিকে গণপিটুনি দিয়ে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে।

ভুক্তভোগী শিশুটি বর্তমানে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী জানান, শিশুটির পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে পরীক্ষা শেষে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান জানান, অভিযুক্ত যুবককে স্থানীয়রা আটক করে মারধর করে পুলিশে হস্তান্তর করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ঘটনাটি শুনে স্থানীয়রা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন। তারা অভিযুক্তকে গণপিটুনি দিয়ে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করেছেন। তাদের মতে, এ ধরনের ঘটনা অসহনীয় এবং দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

এই ঘটনাটি পুনরায় সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে। স্থানীয় জনগণ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত যাতে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটতে না পারে। এছাড়াও, সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থা শক্তিশালী করা জরুরি।