বিজয়নগরে মসজিদ কমিটির সভাপতিকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার জলিলপুর গ্রামের মোঃ রিপন মিয়াকে (৪০) উদ্দেশ্যমূলকভাবে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিজিবির এক কর্মকর্তার ঘনিষ্ঠতার তথ্য প্রকাশ করায় তার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
অভিযোগকারীদের মতে, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী শাহআলমের সঙ্গে লক্ষীপুর বিওপি'র সুবেদার মোঃ ইলিয়াস হোসেনের সুসম্পর্কের বিষয়ে সরাইল ব্যাটেলিয়নকে তথ্য দেন রিপন মিয়া। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়।
গত ৮ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে তোফায়েলনগর-জলিলপুর সড়কের তিন রাস্তার মোড়ে অভিযান চালিয়ে ১৯৫ পিস ইয়াবাসহ মোঃ রোমান মিয়া (২০)-কে আটক করে লক্ষীপুর বিওপির সদস্যরা। মামলায় রোমানকে ১নং আসামি এবং রিপন মিয়াকে পলাতক ২নং আসামি করা হয়।
তবে স্থানীয়দের ভাষ্য, ঘটনার সময় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত রিপন মিয়া বামুটিয়া প্রাইমারি স্কুলের সামনে একটি জমি সংক্রান্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। একাধিক ব্যক্তি নিশ্চিত করেছেন যে, ওই সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তারা মনে করছেন, পরিকল্পিতভাবেই তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
রিপন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, “গত ৩ মার্চ আমি সরাইল ব্যাটেলিয়নের সিওকে জানাই যে, মাদক ব্যবসায়ী শাহআলম ও সুবেদার ইলিয়াস হোসেনের মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে। এরপর থেকেই আমাকে টার্গেট করা হয় এবং শেষমেশ এই মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়। এর আগেও ২০২৩ সালে আমাকে একইভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়েছিল।”
এদিকে, মামলার ১নং সাক্ষী মোঃ ফারুক মিয়া বলেন, “আমি রোমান মিয়াকে বিজিবি সদস্যদের হাতে আটক হতে দেখেছি, কিন্তু রিপন মিয়াকে সেখানে দেখিনি।”
লক্ষীপুর বিওপি'র সুবেদার মোঃ ইলিয়াস হোসেন এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না, আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলুন।”
এ বিষয়ে সরাইল ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, “আমার কাছে কেউ তথ্য দিলে তা গোপন রাখা হয়। রিপন মিয়ার নামে আগেও মাদক মামলা ছিল, তবে বর্তমান অভিযোগের বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব।”
What's Your Reaction?






