বিদেশ পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পৌরসভার আগ্রাকুন্ডা গ্রামের জিয়াউল হক ওরফে জিয়া নামের ব্যক্তি বিদেশ পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক ব্যক্তির নিকট থেকে অর্থ আত্মসাৎ এবং পরবর্তীতে ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছে বলে জানা গেছে। রোববার বিষয়টি নিয়ে থানায় উপস্থিত হতে বলা হয়েছে ভুক্তভোগীদের।
ভুক্তভোগী খন্দকার সজিব আহমেদ, স্বাধীনুল ইসলাম অপু, মোহাম্মদ আলী সহ একাধিক ব্যক্তি জানান, জিয়া ওমান থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী ও ভাইকে দিয়ে চার লাখ টাকায় তাদের ওমান নিয়ে যায়। ওমান পৌঁছে তারা জানতে পারেন তাদের ফ্রী ভিসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওমানে পৌঁছে কোন কাজ না পেয়ে তারা বিভিন্নভাবে হয়রানির স্বীকার হন। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে টাকা পাঠানোর পর দেশে ফিরে আসা সম্ভব হয় তাদের। এবং সজিব নামের একজন ওমান পুলিশের হাতে আটক হয়ে বেশ কিছুদিন কারাবাস করেন। জিয়া এভাবে প্রায় ৪০/৪৫ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছে বলে জানান তারা।
এছাড়াও জিয়া ২০১৭ সালে ওমান যাবার আগে তার বড় ভাই আব্দুল আজিজের মেয়ে অর্থাৎ তার ভাতিজী তাসলিমার নিকট জমি বিক্রির নাটক সাজিয়ে দলিল লেখক গিয়াসের মাধ্যমে সাড়ে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ওমান চলে যায় বলে অভিযোগ করেন তার ভাতিজী তাসলিমা।
সম্প্রতি জিয়া দেশে ফিরলে ভুক্তভোগীরা গত মঙ্গলবার জিয়ার বাড়িতে তাদের পাওনা বুঝে নিতে যায়। এসময় ভুক্তভোগীদের উপস্থিতি ঠিক পেয়ে জিয়া পাশের বাড়ি লুকিয়ে স্ত্রীকে দিয়ে বাড়িতে নাই বলে জানায়। ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন জিয়া লুকিয়ে আছে জানতে পেরে তাকে পাশের বাড়ি থেকে ধরে আনেন। এবং জিয়ার হাতে থাকা মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। এসময় পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিলন কোন কিছু না বুঝেই ভুক্তভোগীদের উপর চড়াও হন। এবং জিয়ার মোবাইল ফোন ভুক্তভোগীদের নিকট থেকে উদ্ধার করে জিয়াকে ফেরত দেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীরা জিয়াকে ধরে কুমারখালী থানার শহর ফাঁড়িতে নিয়ে আসেন। এবং ফাঁড়ি ইনচার্জ গোলাম মাওলা ২১ তারিখে থানায় উপস্থিত হয়ে জিয়া ভুক্তভোগীদের পাওনা বুঝে দিবেন মর্মে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন। এবং ছেড়ে দেবার পরেরদিন জিয়া ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুটপাটের অভিযোগ দেন কুমারখালী থানায়। ভুক্তভোগীরা জিয়া তাদের টাকা ফেরত না দেবার উদ্দেশ্য এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে থানায়। তারা জিয়ার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কুমারখালী থানার সাব ইন্সপেক্টর আশরাফুল জানান, লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষকে থানায় উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।
What's Your Reaction?