বিদ্যুৎ বিল কারসাজি ধরায় সাংবাদিকের উপর হামলা, গ্রেপ্তার-১
দৈনিক মুক্ত খবর ও ডেইলি মর্নিং গ্লোরি পত্রিকার ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক রবিউল হাসান (রাজিব) ও তার পরিবারের ওপর হামলার ঘটনায় রাজ্জাক মল্লিক নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত বুধবার রাতে আসামি রাজ্জাক মল্লিক (৪০)কে কৈজুরী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কৈজুরী গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। আসামি রাজ্জাক গজারিয়া গ্রামের মৃত নিয়াজান মল্লিকের ছেলে।
হামলার ঘটনায় জানাজানি হলে সাংবাদিক সমাজ এবং ওই এলাকার মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের অনুরোধে সাংবাদিক রাজিবকে নিয়ে আলোচনা করে কোতয়ালী থানায় বসে ঘটনাটি মিমাংসা করা হয়েছে বলে জানা যায়।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান এর নিকটে আসামী পক্ষ থেকে লিখিত দেন আর কোন সময় কোনভাবে নিজে বা লোকজন নিয়ে এ রকম কিছু করবে না বলে জানিয়েছেন আসামিরা।
জানা গেছে, সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের কৈজুরী গ্রামের জামাল মল্লিক নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবত মিটার কারসাজি করে বিদ্যুৎ বিল কম দিয়ে ব্যাটারী চালিত ইজি বাইক, অটো রিক্সা/ভ্যান চার্জ দেয়ার ব্যবসা করে আসছে। তারা সেখানে প্রতিদিন ৪০/৫০ টি অটো চার্জ দেয়। ঘটনার সত্যতা জানার চেষ্টা করে সাংবাদিক রাজিব। তখন বিয়ষটি নিশ্চিত হয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসককে অবগত করে তিনি। পরে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হন এবং অভিযুক্তদের অফিসে ডেকে নেন। এবং অভিযুক্তরা বিদ্যুৎ অফিসে হাজির হয়ে মুচলেকা দিয়ে আসে। পরে বাড়ী ফিরে এসেই জামাল মল্লিকসহ অন্যান্যরা সাংবাদিক রবিউল হাসান রাজিব ও তার পরিবারের ওপর হামলা চালায়। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা সাংবাদিক রাজিবকে উদ্ধার করে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার ৩ টার দিকে সাংবাদিক রাজিব এর বাড়ীর সামনে ইউপি সদস্য রাহাতুল হাসানের সাথে মিটার কারসাজির বিষয়ে কথা বলছিলেন। হঠাৎ করে অতর্কিতভাবে একই গ্রামের জামাল মল্লিক, রাজ্জাক মল্লিক, ইমরান মল্লিক, সাহিদ মল্লিক, সাকিব মল্লিক, নাছিমা বেগমসহ আরো ৫/৬ জন লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিতভাবে সাংবাদিককের উপর হামলা করে। এসময় সাংবাদিক রাজিবের স্ত্রী তানিয়া আক্তার স্বামীকে বাচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও মারপিট করে হামলাকারীরা। এছাড়াও ৬ বছরের শিশু কন্যা রাফিয়া তাসনিম বাবাকে ধরে কান্নাকাটি করলে তাকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
ঐদিন রাতেই সাংবাদিক রাজিব কোতয়ালী থানায় হামলাকারী অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেন। ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশ অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে সত্যতা পায় ও পরের দিন রাতে রাজ্জাক মল্লিককে গ্রেপ্তার করে।
হামলার ঘটনায় জড়িতদের নাম উল্লেখ করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে সত্যতা পায় ও পরের দিন একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসানুজ্জামান বলেন,
এ ব্যাপারে একটি মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের অনুরোধে সাংবাদিক রাজিবকে নিয়ে আলোচনা করে থানায় বসে ঘটনাটি মিমাংসা করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
What's Your Reaction?