বেগমগঞ্জে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, ৯জন আহত

নোয়াখালী জেলা বেগমগঞ্জের চৌমুহনী সরকারি সালেহ আহমেদ কলেজ এলাকায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস নিয়ে ছাত্রদলের দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৯জন আহত হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শাকের আহমেদ সবুজ অভিযোগ করেছেন যে, কিছুদিন আগে তিনি চৌমুহনী সরকারি সালেহ আহমেদ কলেজ ছাত্রদলের নতুন ঘোষিত কমিটির সমালোচনা করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। এতে কমেন্টস করে কলেজ ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি হৃদয়। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে হৃদয়ের নেতৃত্বে কলেজ প্রাঙ্গণে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে মাববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। এরপর দুপুর ১২টার দিকে প্রতিপক্ষ ছাত্রদল নেতা প্রান্ত, রাফি এবং তমাল পাল্টা বিক্ষোভ কর্মসূচি আয়োজন করেন, যা উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে।
এ পরিস্থিতিতে হৃদয়ের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা সবুজের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং তাকে ছুরিকাঘাত করে বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে হৃদয়ের অনুসারী ছাত্রদল নেতা তারেকুল ইসলাম তারেক আবারো হামলা চালান।
কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ইয়াসিন হৃদয় তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন যে, বহিরাগত সবুজ তার নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে তাকে ছুরিকাঘাত করেছে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে তিনি জানান।
নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মন্জুরুল আজিম সুমন এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাক্ষা চন্দ্র দাস এই ঘটনায় বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন, তিনি শুধু হামলার ঘটনা শুনেছেন।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান জানান, ফেসবুক স্ট্যাটাসের সূত্র ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, ছোরা নিয়ে দৌড়ানোর খবর পেয়েছেন, তবে আহতদের সংখ্যা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
What's Your Reaction?






