বেরোবিতে রাজনীতি নিষিদ্ধের মধ্যেও প্রকাশ্যে শোডাউন, প্রশাসনের নীরবতায় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ক্যাম্পাসে সকল ধরনের লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ঘোষণা সত্ত্বেও ছাত্রদলের প্রকাশ্য শোডাউন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ও ভীতি সৃষ্টি করেছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গতকাল রবিবার (৫ জানুয়ারি) ছাত্রদল বেরোবি শাখা প্রকাশ্যে শোডাউন করেছে। প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করেছেন তারা।
এক শিক্ষার্থী বলেন, "আমাদের ভাইদের রক্ত এখনো রাস্তায় লেগে আছে। ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন প্রকাশ্যে কার্যক্রম চালাচ্ছে, আর প্রশাসন চুপ করে আছে। এটি শহিদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, তারা ছাত্রসংসদ নির্বাচনের পক্ষে থাকলেও একটি ছাত্রসংগঠন এর বিরোধিতা করছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, বিএনপিপন্থি কিছু শিক্ষক ও প্রক্টরের পরোক্ষ মদদে ছাত্রদল তাদের কার্যক্রম চালানোর সুযোগ পাচ্ছে। এমনকি অভিযোগ রয়েছে, ছাত্রদলের এক নেতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ব্যবহার করে কম্বল বিতরণ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমান বলেন, "ক্যাম্পাসে এমন কিছু হয়নি বলে আমি জানি না। এ বিষয়ে কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।"
এদিকে, ছাত্রদলের আহ্বায়ক আল আমিন ইসলাম দাবি করেন, "আমরা কোনো শোডাউন দিইনি। উপাচার্য মহোদয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ক্যাম্পাস ছাড়ার সময়ের ভিডিওকে শোডাউন হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। কেউ ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে ছাত্রদল সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিরোধ করবে।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকত আলী বলেন, "ক্যাম্পাসে দলীয় ব্যানারে কার্যক্রম নিষিদ্ধ। যেসব সংগঠন কাজ করছে, তাদের অনেকের ছাত্রত্ব নেই, যা খুবই লজ্জাজনক। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং প্রক্টরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ছাত্রসংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করা হবে।"
তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রশাসনের নীরবতা ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করছে। তারা দ্রুত ছাত্রসংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন এবং দলীয় রাজনীতি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
What's Your Reaction?






